প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২১ , ৯:৩২:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
তবে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো কিংবা নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার। অপরদিকে অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংস্থার অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু।
সম্প্রতি বরিশালে একটি ভিডিও ফাঁস হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদারের অফিস কক্ষে হ্যান্ডকাফ পরিহিত এক যুবককের হাতে ৫ পিস ইয়াবা দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে মারুফ শিকদার নামে ওই যুবককে আটক করা হয় নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোড থেকে। তার কাছ থেকে ৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে অভিযোগ করে ওই রাতেই নগরীর কাউনিয়া থানায় একটি মামলা করেন পরিদর্শক আব্দুল মালেক।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান জানান, মারুফের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টার অভিযোগ কখনও শোনেননি তারা। মারুফকে অন্যায়ভাবে মাদক দিয়ে ফাঁসানো এবং নির্যাতনের ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্তের কঠোর বিচার দাবি করেন তিনিসহ স্থানীয়রা।
এদিকে নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোড থেকে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রত্যক্ষদর্শীদের উপস্থিতিতে ইয়াবাসহ মারুফ শিকদার নামে ওই যুবককে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল মালেক তালুকদার। তাকে কোন ধরনের নির্যাতন কিংবা ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু বলেন, মাদক দিয়ে কাউকে ফাঁসানো এবং নির্যাতন করা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাজ নয়। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কোন টর্চার সেল নয়। যিনি নির্যাতন করেছেন দায় তার নিজের। এই দায় সংস্থা নেবে না। এ ঘটনা তদন্ত করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু।
দিনমজুর বাবা-মায়ের দুই সন্তানের মধ্যে মারুফ ছোট।