বাংলাদেশ

ঈদযাত্রায় মৃত্যুর রেকর্ড!

  প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২১ , ৩:০৫:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে চলছে লকডাউন। কিন্তু লকডাউনের মাঝেও থেমে নেই দুর্ঘটনা। শুধু ঈদুল ফিতরের সময় সড়ক, রেল ও নৌ-পথে ৩২৩টি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৩৩১ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৭২২ জন। গত ছয় বছরের এবারই ঈদযাত্রায় (ঈদুল ফিতর) সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০২১-এ এসব তথ্য জানায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির পক্ষে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেন মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদের ছুটি শুরুর দিন ৭ মে থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ২১ মে পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৩ জন নিহত, ৬২২ জন আহত হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে রেলপথে ২টি ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। নৌ-পথে ৩টি দুর্ঘটনার ছয়জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে যৌথভাবে ১২৩টি দুর্ঘটনায় ৩৩১ জন নিহত ও ৭২২ জন আহত হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৪৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত ও ১৯৯ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৫ দশমিক ২৮ শতাংশ, নিহতের ৪৩ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং আহতের ৩১.৯৯ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৩১ জন পুলিশ সদস্য, দুইজন র‌্যাব সদস্য, একজন সেনাবাহিনীর সদস্য, দুইজন বিজিবি, ৩৫ জন নারী, ৩৩ জন চিকিৎসক, ২২ জন শিশু, ১৩ জন শিক্ষার্থী, ৩৭ জন শিক্ষক, ৯৬ জন চালক, ৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, একজন প্রকৌশলী, ৬৯ জন পথচারী, দুইজন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় বছরের মধ্যে এবারই ঈদযাত্রায় (ঈদুল ফিতর) সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সংগঠনটির দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ১২১ জন, ২০১৭ সালে ২০৫ জন, ২০১৮ সালে ২৭৭ জন, ২০১৯ সালে ২৩২ জন, ২০২০ সালে ১৪৯ জন এবং ২০২১ সালে ৩১৮ জন মারা গেছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by