বাংলাদেশ

‘এখনকার ডিপ্লোমেসি পলিটিক্যাল নয়, ইকোনোমিক হবে : প্রধানমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১ জানুয়ারি ২০২৩ , ৫:১২:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

করোনা মহামারী ও ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের ফলে বিশ্ব পরিস্থিতিতে বর্তমানে যে কূটনীতি তা রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘এখনকার ডিপ্লোমেসি পলিটিক্যাল নয়, ইকোনোমিক হবে। অর্থাৎ প্রতিটা দূতাবাস ব্যবসা-বাণিজ্য, রপ্তানি, কোন দেশে কিসের চাহিদা, কী আমরা রপ্তানি করতে পারি বা কোথা থেকে আমরা বিনিয়োগ আনতে পারি; সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য বিদেশে আমাদের প্রতিটা দূতাবাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

আজ রোববার রাজধানী ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই মর্যাদা কার্যকর করার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন কমিটি করে কোন খাতে কী কী করণীয় সেগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তবে কোভিডের কারণে আমাদের দুই বছর সময় নিতে হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ কার্যকর করব, ২০২৪ এ করার কথা ছিল।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন; এসবের ফলে সারা বিশ্বব্যাপী আজ অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। নিজেদের মন্দার দেশ হিসেবে ঘোষণা করছে। আমরা কিন্তু এখনো সে পর্যায়ে যাইনি। আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছি, ওই অঞ্চলে আমাদের যারা রাষ্ট্রদূত আছে, তাদের ডেকে ব্রিফ করেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এমন নির্দেশনা দেওয়া আছে যে, প্রত্যেকটা দূতাবাস চেষ্টা করবে, কোন দেশে কোন পণ্যের চাহিদা আছে (তা জানাবে), সেই পণ্য আমরা আমাদের দেশে উৎপাদন করব, রপ্তানি করব। এভাবেই বাণিজ্য আমরা বৃদ্ধি করব।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা রপ্তানিযোগ্য কিছু পণ্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। সেটাকে বহুমুখী করার কথা, আমি বারবার একথা বলে যাচ্ছি, এখনো বলছি, যত বেশি পণ্য বহুমুখী করতে পারব, যত বেশি নতুন নতুন বাজার পাব, তত বেশি পণ্য রপ্তানি করতে পারব। আমাদের মানুষের কর্মক্ষমতাও বাড়ে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন- বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি জসীম উদ্দিন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে দেশের ব্যবসায়ী নেতা, রপ্তানিকারক, মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনসাধারণও উপস্থিত রয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by