বাংলাদেশ

‘এটা কি মোনায়েম খানের যুগ নাকি, কথায় কথায় পুলিশ ডাকা?’ শাবিপ্রবিতে আন্দোলন নিয়ে ফিরোজ

  প্রতিনিধি ২৩ জানুয়ারি ২০২২ , ৫:০২:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উদ্ভূত সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের সাথে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। এ নিয়ে সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে মন্ত্রীর নিজেরই সেখানে যাওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, আন্দোলনরত অবস্থায় যে ছাত্ররা ঢাকায় আসবে না, এটা জানা কথা। ছাত্রজীবনে আন্দোলন করার সময় আমরা কোনোদিন কারো বিয়ের দাওয়াত, মিলাদের দাওয়াতও পেতাম না। কিন্তু আন্দোলনের সময় বঙ্গভবনের দাওয়াতও আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, প্রয়োজনে মন্ত্রীর উচিত ছিল, ডাবল মাস্ক পরে সেখানে যাওয়া। এছাড়া শাবিপ্রবি ভিসি কর্তৃক পুলিশ ডেকে ছাত্রদের ওপর হামলা করার ঘটনা নিয়ে ফিরোজ রশীদ বলেন, এটা কি মোনায়েম খানের যুগ নাকি, যে কথায় কথায় পুলিশ ডেকে আনবেন?

রোববার (২৩ জানুয়ারি) সংসদে কাজী ফিরোজ রশীদ তাদের আন্দোলনকে যৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেন। আজকের মধ্যেই ভিসিকে প্রত্যাহারের দাবিও করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ভাইস চ্যান্সেলর কোনো স্থায়ী পদ না যে তিনি না থাকলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। শাবিপ্রবি ভিসির বিন্দুমাত্র সম্মানজ্ঞান নেই বলেই তিনি এখনও পদ আকড়ে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ফিরোজ বলেন, ছাত্রীরা হাউজ টিউটরের সাথে কথা বলতে গেলে হাউজ টিউটর তাদের সাথে বাজে ব্যবহার করে। এ নিয়ে ভিসির সাথে কথা বলতে গেলে তিনিও এক পর্যায়ে পুলিশ ডেকে আনেন। এটা কি মোনায়েম খানের যুগ নাকি, যে কথায় কথায় পুরিশ ডেকে আনবেন?

এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান সত্ত্বেও তারা এক দফা দাবিতে অনড়। আজ দুপুরে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে তাদের আবারও আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। অনলাইন মিটিং শেষে শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মন্ত্রীকে আমাদের আন্দোলনের শুরু থেকে যা যা হয়েছে সব জানিয়েছি। তিনি আমাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আজ দুপুরে আবারও আলোচনায় বসবো। ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন কার্যক্রম চলবে।

এর আগে গতকাল রাতে শাবিপ্রবি শিক্ষকদের সাথে বৈঠক করছেন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠকে শাবিপ্রবি শিক্ষক ছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে কোনো শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by