হাসানূল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ : নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, লঞ্চের যে ডিজাইন এটি কোভিড-১৯ কভার করে না। তারপরও আমাদের এভাবে চলতে হচ্ছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিআইডাব্লিউটিএ, বিআইডাব্লিউটিসি' এবং নৌ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মার্চ মাস থেকেই সচেতনতামূলক লিফলেট যাত্রীদেরকে দিয়েছি। আমাদের আগে সচেতনতামূলক লিফলেট কেউ দেয়নি। আমরা সচেতন করার চেষ্টা করেছি। মার্চের ২০ তারিখ একটি মিটিং করেছি যেখানে কিভাবে যাত্রী সেবা দিতে পারি এবং তার চারদিন পরই সরকারের পক্ষ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে তাই সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। লকডাউন খুলে দেওয়ার তিনদিন আগে একটি সমন্বয় মিটিং করেছি। মালিক, শ্রমিক এবং কর্তৃপক্ষ সবাই যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। স্যানিটাইজার ট্যানেল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ সব কিছুই আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তুত ছিল। আমরা দুর্ভাগ্যজনক জনক ভাবে দেখলাম এতো প্রস্তুতি নেওয়ার পরও যাত্রী সাধারণ এটাকে অনুসরণ করেনি। লকডাউন চলছিল, ফেরি চলছিল, যা নিয়ে সারা পৃথিবীতে ব্যাপক নিউজ হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার(৪ জুন) বিকাল ৩টায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের রো রো ফেরিঘাটে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি লঞ্চঘাট, স্পীডবোটঘাট ও ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু ফেরি চালু রেখেছিলাম বিশেষ বিশেষ কারনে। সরকারি কার্যক্রম চালু রাখা, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসা পণ্য, ত্রানসহ বিভিন্ন জরুরি কাজের জন্য। কিন্তু হাজার হাজার মানুষ এখানে উপস্থিত হয়েছে, আমাদের ঘাটের লোকজন অসহায় হয়ে পড়েছিল। অনেকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশে যেসব নৌরুট আছে সব জায়গায় সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নে চাপ প্রয়োগ করছি। যেখানে বিধি ভঙ্গ হচ্ছে সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
