প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২৩ , ৭:০১:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্ক :
ব্যর্থতার দায়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কান ধরে উঠবস করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলের সদস্য ও সাবেক যুবলীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি উচ্চ পর্যায়ের নেতারা সরকার পতনের ডাক দিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের বারবার বিভ্রান্ত করছে। কিন্তু সরকার পতন এত সহজ না, কারণ এই সরকার জনগণের সরকার। মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা যদি সরকার পতন করতে না পারে, তাহলে পল্টন কার্যালয় এর সামনে বিএনপির নেতাদের কান ধরে উঠবস করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বুধবার (১১ জানুযারি) বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফার্মগেট এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগ।
তিনি বলেন, কারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে? যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করতে চেয়েছিল সেই পরাজিত শক্তি ১৫ ই আগস্ট নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। সেই চক্রান্তকারীরা আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, সেই চক্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতি-উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তাদের আন্দোলন ১০ ডিসেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বর যেভাবে প্রতিহত করা হয়েছে আজকেও তাদের গণ কর্মসূচি ব্যর্থ করা হবে।
বিএনপিকে প্রতিহত করতে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যে পরাজিত শক্তি মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারাই ১৫ই আগস্ট ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আবারো নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, কিন্তু তাদেরকে আর সুযোগ দেওয়া হবে না। যুব সমাজকে নিয়ে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে এই সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি কর্মসূচি পালন করে সরকার হাটানোর জন্য। তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর অনেক অত্যাচার করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় এসে উন্নয়নের মাধ্যমিক দেশের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। তারা আবারো যদি রাস্তায় নামতে চায় তখনই প্রতিহত করা হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সমাবেশ পরিচালনা করেন। এ সময় ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ নাঈম, রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম, দপ্তর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান কামরুলসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।