বাংলাদেশ

‘এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে আনা অসম্ভব’

  প্রতিনিধি ৫ মার্চ ২০২৩ , ৫:২২:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে নামানো অসম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ রোববার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১-এর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জ্যেষ্ঠ ‍যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সুপসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন হয়।

সরকারের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ, দুঃশাসন আর ভোটচুরি, জনগণের অর্থ লুটপাটের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় থাকার বাসনা পরিত্যাগ করুন। উন্নয়ন করেছেন আস্থা নিয়ে জনগণের কাছে ‍যান। জনগণ যদি আবার আপনাকে লুটপাট করার জন্য নির্বাচিত করে আমরা বাধা দেবো না।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘নির্বাচন করার সামর্থ্য আপনার নাই-এটা পরিস্কার। বিএনপিকে ২০১৮ সালে নির্বাচনে নেওয়া যত সহজ হয়েছিল, এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপিকে নির্বাচনে নামানো অসম্ভব। এই অসম্ভব কাজটা আপনি সম্ভব করতে যাইয়েন না তাতে জটিলতা বাড়বে। আর বিএনপি থেকে কাউকে ভাগাইয়া নেবেন ওটাই বোধহয় সম্ভব না। কারণ যে নৌকার তলা ফাটা আছে সেই নৌকার তলায় কেউ উঠবে না ডুবে মরার জন্য। আর যে নদীতে পানি নাই সেই নদীতে মানুষ কিন্তু ঝাঁপ দেয় না।’

২০১৮ সালের নির্বানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আসলে তো মানুষ নৌকায় চড়ে নাই। ওই পুলিশকে দিয়া কয়টা ভোট জোগাড় করছেন। এবার সেই পুলিশ আপনার জন্য সেই ভোট জোগাড় করবে কিনা সেটাও মতিস্কে রাখেন। আবার বলছি, বাংলাদেশে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের দাবিতে শেখ হাসিনাকে রেখে বাংলাদেশের জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না, কোনো রাজনৈতিক দলগুলো অংশ গ্রহণ করবে না এবং সেই ভোট হতে পারবে না। আর যদি প্রচুর দালাল-টালাল জোগাড় করে থাকেন সেই দালালদের পাহারা দিয়ে রাখতে পারবে কী না জনগণের রোষানলের হাত থেকে সেই ব্যাপারে কিন্তু শতভাগ সন্দেহ আছে। তাই বলব, সময়মত পদত্যাগ করুন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও ব‌লে‌ন, ‘মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, মানুষ বাঁচতে চায়। আর এ কার‌ণে অ‌চি‌রেই আপনাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে, আপনার পতন নিক‌টে, আপ‌নি কোথায় যাবেন সেটা খুঁজুন।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের নেতা রিজভী, সরাফত আলী সপুসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি চাই। আমাদের দাবি একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। ৯৬ সালে জামায়াতের সঙ্গে সেদিন তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করেছে আওয়ামী লীগ।’

প্রধানমন্ত্রীর উ‌দ্দেশে তি‌নি আরও ব‌লেন, ‘আপনি গণভবনের বসে আসন ভাগাভাগি করবেন, তা হতে পারে না। ৯১ সালে আপনি গোপালগঞ্জ ছাড়া বাকি আসনে পরাজিত হয়েছিলেন, আর খালেদা জিয়া পাঁচটি আসনে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। রাজত্ব যার নেশা তার জন্য গণতন্ত্র নয়।’

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ঢালী আসাদুজ্জামান রিপনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আহমেদ শাহিনের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, রফিক শিকদার, তাঁতী দলের কাজী মুনিরুজ্জামান মুনির, মৎসজীবী দলের আবদুর রহিম, কৃষক দলের ভিপি ইব্রাহিম, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by