দেশজুড়ে

ঐক্যবদ্ধ হয়ে চুয়াডাঙ্গার নেতাকর্মীদের খুলনা যাওয়ার আহবান

  প্রতিনিধি ১২ নভেম্বর ২০২৩ , ৮:২৭:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ঐক্যবদ্ধ হয়ে চুয়াডাঙ্গার নেতাকর্মীদের খুলনা যাওয়ার আহবান

কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলার জন্য বিশেষ ট্রেন ব্যবস্থা

১৩ নভেম্বর খুলনায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য, এফবিসিসিআই নেতা, বাংলাদেশ হকি ও ভলিবল ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ তার নিজ বাসভবন ‘খান মহল’ এ এই  প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি জানান, দীর্ঘ ৫ বছরেরও বেশি সময় পর বড় কোনো আয়োজনে যোগ দিতে খুলনায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার তিনি খুলনা নগরের সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এদিন তিনি ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করবেন। সোমবার দুপুর ১টা থেকে শুরু হবে জনসভা। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন বিকেল ৩টার দিকে।

চুয়াডাঙ্গার সভায় প্রধান অতিথির  ভাষেণে এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে চুয়াডাঙ্গাসহ দক্ষিনাঞ্চলের যে উন্নয়ন হয়েছে, তা অন্য কোন সরকারের আমলে হয়নি। আগামীতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে জয়লাভ করাতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আগামী ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনায় জনসভা করবেন। এই জনসভায় সকল নেতাকর্মী সবস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করবেন। ঐক্যবদ্ধ হয়ে সবাইকে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভায় অংশগ্রহন করতে হবে। এছাড়া জনসভায় অংশগ্রহনে পালনীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে নানা নির্দেশনা দেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

উল্লেখ্য, রাজ্জাক খান রাজ গত এক সপ্তাহ যাবৎ নিজে চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান করে  প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার বিভিন্ন ইউনিয়নে ইউনিয়নে পথসভা, উঠোন বৈঠক, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান দিয়ে অবিরাম গণসংযোগ করে চুয়াডাঙ্গার মানুষকে খুলনায় শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে উজ্জিবিত করেন।

এম এ রাজ্জাক খান রাজ আরো বলেন, ‘নৌকা আমাদের দলীয় প্রতীক। এ কারণে খুলনায় নেত্রীর জনসভামঞ্চের নিচের অংশ তৈরি করা হচ্ছে নৌকার আদলে।  পদ্মা সেতুর কারণে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়েছে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের মানুষের। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতেই মঞ্চে পদ্মা সেতুর রেপ্লিকাও রাখা হচ্ছে।

এম এ রাজ্জাক খান রাজ মঞ্চ নির্মাণে আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুস্পুত্র বাগেরহাট- ১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগসহ খুলনার সংশ্লিষ্ট সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এম এ রাজ্জাক খান রাজ আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে  কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সবাই যেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পায়, এ জন্য জনসভাস্থল ও আশপাশের এলাকাগুলোতেও উন্নত মানের সাউন্ড সিস্টেম ও বিশেষ কিছু জায়গায় প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য ডিজিটাল স্ক্রিন দেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by