দেশজুড়ে

সুপ্রিম কোর্টে মাহবুবে আলমের জানাজা সম্পন্ন

  প্রতিনিধি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২:০১:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ অনলাইন:

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এখন তাকে দাফনের জন্য নেয়া হবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।

দীর্ঘ ৪৫ বছর সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন মাহবুবে আলম। সর্বশেষ টানা ১১ বছর দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা- অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে এখানে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তার সম্মানে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ বসছে না বলে আগেই জানানো হয়েছে। শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ অনেকে।

এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোমবার দুপুর ১২টায় মাহবুবে আলমের কফিন আনা হবে তার প্রিয় কোর্ট প্রাঙ্গণে। এর আগে তার সহকর্মীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

সোমবার সকাল থেকে মাহবুবে আলমকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার সহকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জমায়েত হতে থাকেন। বেইলি রোডের সরকারি বাসা থেকে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে তার মরদেহবাহী গাড়ি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের দিকে রওনা হয়। ১০টা ৪১ মিনিটের দিকে গাড়িটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পৌঁছায়।

সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় মাহবুবে আলমের মরদেহ সিএমএইচ থেকে বেইলি রোডের অ্যাটর্নি জেনারেলের সরকারি বাসভবনে আনা হয়। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

জ্বর ও গলা ব্যাথা নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর তিনি সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

মাহবুবে আলম সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের এয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনীসহ ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করেন।

Powered by