ঢাকা

ওরা বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ কর্ম ও আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি: শেখ সেলিম এমপি

  প্রতিনিধি ১৫ মার্চ ২০২২ , ৮:২৪:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

 

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এমপি বলেন, এখন মার্চ মাস। বাঙ্গালী জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মার্চ মাসে জম্মগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে, আজও আমরা পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকতাম। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বাঙ্গালী জাতির জন্য তাকে পাঠিয়ে ছিলেন।

মঙ্গলবার বিকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্ম শতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে গোপালগঞ্জ পৌর ঈদগাহে মুজিববর্ষের উপহার পৌরসভার ১২টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানী শাসনামলের ২৩ বছরের মধ্যে ১৩ বছর বঙ্গবন্ধু কারানির্যাতন ভোগ করেন। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীকার আন্দোলন পর্যন্ত ৩ বার তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। পাকিস্তানে তাকে হত্যার জন্য কবর খুড়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি কখনও এসবের পরোয়া করেননি। বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য তিনি আমৃত্যু লড়াই করে গেছেন। শেখ সেলিম বলেন, পাকিস্তানীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি।

এ বাংলার কিছু মীরজাফর ৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে একটি পাকিস্তানের তাবেদার রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল তারা। মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধ্বংস করা হয়। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ, কর্ম ও আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী। বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী এমদাদুল হক, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম-পিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মাহবুব আলী খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু প্রমূখ।

এর আগে প্রধান অতিথি গোপালগঞ্জ পৌর কমিউনিটি সেন্টার ও পৌর জামে মসজিদ, পৌর পাবলিক হল শপিং কমপ্লেক্স. পৌর নিউ মার্কেট, শেখ সেলিম পৌর মিলনায়তন, পৌরসভার সম্প্রসারিত ভবন, হরিদাসপুর দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ, চাপাইল দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ, হরিদাসপুর-চাপাইল পর্যন্ত শেখ সেলিম সড়ক, রুরাল পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম, গোপালগঞ্জ পৌরসভার ৩০০ ঘঃমিঃ ঘণ্টা ক্ষমতা সম্পন্ন সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও গোপালগঞ্জ পৌর ঈদগাহ। এছাড়াও গোপালগঞ্জ পৌর বড় বাজার ও পৌর স্যানিটারী ল্যান্ডফিল্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

 

এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার দেব, জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এহসানুল হক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কে.এম হাসানুজ্জামান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক চন্দ্র তালুকদার, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিভা সরকার, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান, পিআইও মো. আলাউদ্দিন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by