চট্টগ্রাম

কক্সবাজারে বিশ্বের প্রথম আশ্রয়ণ কেন্দ্র উদ্বোধন কাল

  প্রতিনিধি ২২ জুলাই ২০২০ , ৮:২৩:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ইসলাম মাহমুদ, কক্সবাজার :কক্সবাজারের খুরুশকুলে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণ কেন্দ্র। আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে আশ্রয় পাবে জলবায়ুজনিত ঘূর্ণিঝড়ে উদ্বাস্তু হওয়া ৪৪০৯টি পরিবার। প্রথম পর্যায়ে ২০ টি ভবনে আশ্রয় পাবেন ৬শ পরিবার। ইতিমধ্যে যারা ফ্ল্যাটের চাবি গ্রহণ করেছেন তারা খুশি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি যেন দ্রæত সময়ের মধ্যে সকল পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বলেন, বিমানবন্দর উন্নয়ন ও স¤প্রসারণের জন্য জলবায়ূ উদ্বাস্তুরা যেন উচ্ছেদ না হয় সে জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই এ বিশেষ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসক জানান, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য তৈরি করা আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কে ১ শ একর জমি দেয়া হয়েছে। যার উপর গড়ে তুলবে ১০ তলা বিশিষ্ট শেখ হাসিনা টাওয়ার সহ নানা পর্যটন স্পট। খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকছে ৫ তলা বিশিষ্ট ১৩৯টি ভবন ও ১০ তলা বিশিষ্ট ১টি টাওয়ার। যা পর্যায়ক্রমে তৈরি করবে সেনাবাহিনী। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএিম বার বলেন, খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য একটি পুলিশ ফাঁড়ি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে কাগজ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ফাঁড়ি না হওয়া পর্যন্ত কক্সবাজার সদর মডেল থানা থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে ঐ এলাকার আইন শংখলা রক্ষার জন্য। সবচেয়ে আকর্ষণের বিষয়টি হচ্ছে, নির্মিত ২০টি অত্যাধুনিক ভবনের নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে লিখে নামকরণ করেছেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, কক্সবাজারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দুর্বলতা যেন ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে। আবহমান বাংলার প্রকৃতি এবং কক্সবাজারের নানা স্থান নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর নিজ হাতে লেখা নামগুলো হচ্ছে ১) সাম্পান, ২) কোরাল, ৩) রজনীগন্ধা, ৪) গন্ধরাজ, ৫) হাসনাহেনা, ৬) কামিনী, ৭) গুলমোহর, ৮) গোলাপ, ৯) সোনালী, ১০) নীলাম্বরী, ১১) ঝিনুক, ১২) কেওড়া, ১৩) মুক্তা, ১৪) প্রবাল, ১৫) সোপান, ১৬) মনখালী, ১৭) শনখালী, ১৮) দোলনচাঁপা , ১৯) ইনানী, ২০) বাঁকখালী। মানবিকতার জায়গা থেকে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার পর বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথমবারের মতো জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য স্থায়ী বসতি করে দেয়ার বিষয়টি বিশ্বের জন্য হতে পারে একটি বিরল দৃষ্টান্ত।

Powered by