বাংলাদেশ

করোনায় কেনা হয়েছে পৌনে ৮০০ কোটি টাকার মাস্ক-কিট

  প্রতিনিধি ২০ জুন ২০২১ , ৮:৩২:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

দেশে গত বছরের মার্চ থেকে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। ফলে গেল বছর থেকে এ বছরের ৭ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সরকার প্রায় ৩০৫ কোটি টাকার মাস্ক কিনেছে। এ সময়ে কিট কিনেছে প্রায় ৪৭০ কোটি টাকার।

আজ রোববার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির নবম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

৩০৫ কোটি টাকার মাস্কের মধ্যে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোর (সিএমএসডি) মাধ্যমে মাস্ক কেনা হয়েছে ২৬৬ কোটি ১৭ লাখ ২৪ হাজার টাকার এবং আরটি-পিসিআর টেস্ট কিট কেনা হয়েছে ৪০১ কোটি ২৫ লাখ টাকার।

কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্পের আওতায় মাস্ক কেনা হয়েছে ৩৯ কোটি ৯ লাখ ২২ হাজার ৩৩৩ টাকার, আরটি-পিসিআর কিট কেনা হয়েছে ৩৫ কোটি ৮০ লাখ ৩১ হাজার ১৪২ টাকার। এ ছাড়া আরেকটি প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফের মাধ্যমে কেনা হয়েছে ৩২ কোটি ৯০ লাখ ৭২ হাজার টাকার কিট।

টিকা সংকট মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সংসদীয় কমিটির এই সুপারিশের পর জানানো হয়, মোট ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার লক্ষ্যে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ৩ কোটি ডোজের মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়া গেছে। এছাড়া ভারত থেকে উপহার হিসেবে ৩২ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘বৈঠকে মাস্ক ও কিট সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এ ছাড়া বৈঠকে কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত কত টাকার মাস্ক ও কিট কেনা হয়েছে, টিকার সংকট মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ভ্যাকসিন জিটুজি না-কি এজেন্টের মাধ্যমে আনা হচ্ছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আইসিইউ ও অক্সিজেনের বর্তমান অবস্থা এবং সম্ভাব্য সংকট থেকে উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হয়।’

জানা যায়, তথ্য বিভ্রান্তি এড়াতে ওই বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সকল তথ্য প্রদান ও পর্যালোচনা শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দিতে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। বৈঠকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়

আরও খবর

Sponsered content

Powered by