প্রতিনিধি ২ জুন ২০২০ , ১০:৫৪:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ
কভিড১৯ আক্রান্ত হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। লক্ষন দেখা দেওয়ার সাথে সাথে পরিক্ষা এবং ফলাফল নিশ্চিত করতে হবে। প্রাথমিক সনাক্ত এবং চিকিৎসা নিশ্চিত হলে আই সি ইউ ও ভেন্টিলেটর বিডম্বনা অনেকাংশে এড়িয়ে চলা সম্ভব। বাস্তবতা হচ্ছে করোনার সব লক্ষ্মণ পরিলক্ষিত না হলে সন্দেহভাজন পরিক্ষার সম্মুখীন হচ্ছে না। যখনি পরিক্ষার সম্মুখীন হচ্ছে ফলাফলের অপেক্ষার সময়টুকু হল ৫-৭ দিন।
এক্ষেত্রে সন্দেহভাজন আগে অবাধে চলাফেরা করছে এবং পরিক্ষার ফলাফলের পূর্বে ও অবাধে চলাফেরা বিদ্যমান। এক্ষেত্রে করনীয় নির্ধারণ করা উচিত ছিল লক্ষ্মণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে বাধ্যতা মূলক কোয়ারান্টাইন এবং পরিক্ষা এবং ফলাফলের মধ্যেবর্তী সময় টুকু প্রতিষ্ঠানিক আইসোলেশন নিশ্চিত করা। এ ব্যবস্হায় সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যেত। এই রোগ যতটা ভয়াবহ নয় আতঙ্ক এবং অব্যবস্হাপনা এটাকে ভীতিকর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত।
প্রথমিক পর্যায়ে সনাক্ত ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারায় ভেন্টিলেটর এবং আই সি ইউ চাহিদায় চাপ বাড়ছে এবং ক্রিটিকাল রোগীকে চহিদা অনুয়ায়ী আই সি ইউ ও ভেন্টিলেটর সুবিধা দেয়া যাচ্ছে না। অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসা গ্রহণের বিড়ম্বনা উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠাকে বেশি প্রশমিত করছে। এক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে অন্তত তিনটি জোনে ভাগ করে চিকিৎসা ব্যবস্হা নিশ্চত করলে স্বস্তির কিছুটা নিঃশ্বাস নেয়া যাবে।
সেক্ষেত্রে সাধারণ রোগী, সন্দেহভাজন, করোনা রোগী তিনটি জোনে ভাগ করা যেতে পারে। মূলত চিকিৎসা ব্যবস্হাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে যার জন্য প্রাথমিক সনাক্ত এবং চিকিৎসা বিকল্প নেয়। দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক কে করোনাকে সাধারন চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ ব্যবস্হা নেয়া যেতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণের নিরোধ খুভ জটিল। এক্ষেত্রে সচেতনতা, দ্রুত সনাক্তকরণ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ একমাত্র সমাধান।
গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিঠ গুলো প্রয়োজন সাপেক্ষে প্রথমিক সনাক্তকরণে ব্যবহার করা যেতে পারে। অতিরিক্ত সনাক্তকরণের চেয়ে অধিক সংক্রমণ মারাত্নক। এক্ষেত্রে সংক্রামিত রুগীদের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে হ্যঁ, প্রচলিত সমাজিক ব্যবস্হা, অতিরিক্ত ভীতিকর পরিস্থিতি, চিকিৎসা ক্ষেত্রে অব্যবস্হাপনা, বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয় স্বজন যে নেতিবাচক মনোভাব এগুলো বাস্তবতা চেয়ে আরো বেশি পরিস্থিতিকে ঘনীভূত করে তুলছে।
গোলাম কিবরিয়া, লেখক ও প্রাবন্ধিক