চট্টগ্রাম

কর্ণফুলী দখল ও দূষণ মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন

  প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৪:২৯:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

কর্ণফুলী দখল ও দূষণ মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন

কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণ মুক্ত করে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধ এবং দখলদারদের উচ্ছেদের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে ৫টি সংগঠন যৌথভাবে মানববন্ধন করেছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর চত্বরে চট্টগ্রাম পরিবেশে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলীউর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইউনাইটেড সোশ্যাল নেটওয়ার্কের নির্বাহী মুজিব উল্ল্যাহ তুষারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মাহফুজুর রহমান, সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা চট্টগ্রামের সমন্বায়ক মনিরা পারভিন রুবা, আরকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন জাহেদুল করিম বাপ্পি সিকদার, কৃষিবিদ কাজী গোলাম প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক তৈরিকৃত স্ট্রাটেজিক মাস্টার প্ল্যান ২০১৪ অনুযায়ী বন্দর মোহনা থেকে হালদা মোহনা পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষা করে কর্ণফুলীর পুণ্য যৌবন ফিরিয়ে আনতে হবে। উচ্চাদালতের আদেশ অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, নদীর উভয় তীরে টিকে থাকা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ৫৫৮ প্রকারের গাছ রক্ষা করতে হবে। কর্ণফুলী দিন দিন দখল ও দূষণের কারণে ইতোমধ্যেই ৬৩ প্রকার নদীর মাছ ও প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে গেছে। কর্ণফুলীর দুই তীরে ৫২৮ প্রজাতির উদ্ভিদ শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৮১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্তির পথে আছে।

দূষণ ঠেকাতে উদ্যোগ না নিলে আরও ৬১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিপন্ন হয়ে যাবে বলে বক্তারা জোর দাবি করেন। শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করার কারণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং বন্দর কর্তৃপক্ষকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

বন্দর মোহনা থেকে হালদা মোহনা পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কর্ণফুলীর নাব্যতা সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে, আগামী শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চাক্তাই খালের মোহনায় লাগাতার ভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে বলে মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by