দেশজুড়ে

কর্মহীন হয়ে পড়ার সংঙ্কায়”ঝুঁকি নিয়েই ইটভাটায় শ্রমিকরা

  প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২০ , ৬:১৮:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমন বিস্তার প্রতিরোধে প্রসাশনের পক্ষ থেকে নানামূখী সচেতনমূলক প্রচারনা চালালেও দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার প্রায় ৪০টি ইটভাটায় মালিকরা এখনোও শ্রমিকদের দিয়ে ভাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইটভাটা কর্তৃপক্ষের দাবি, শ্রমিকদের চাপেই ইট প্র¯ু‘ত করতে হচ্ছে আমাদের। কর্মহীন হয়ে পড়ার সংঙ্কায় তারা নিয়মিত ভাটায় আসছে। আর চিকিৎসকরা বলছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে চললে সবাইকে করোনা সংক্রমন ঝুঁঁকিতে পড়তে হবে। 
জানাগেছে, করোনা মোকাবিলায় রাস্তায় সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে চলছে ইটভাটায় ব্যবহিক অবৈধ ট্রাক্টর। আর অধিকাংশ ট্রাক্টর চালকের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। ফলে এগুলো উপজেলার পাড়া, মহল্লায় ও রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের মধ্যে নেই কোন করোনা সুরক্ষা প্রস্তুতি । নেই সচেতনতা। 
চিরিরবন্দর উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়নে বৈধ-অবৈধ প্রায় ৪০টি ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটায় প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। ইটভাটার মালিকের পক্ষ থেকে ভাটার শ্রমিকের জন্য করা হয়নি কোন প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা। 
সরেজমিনে গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার আব্দুলপুর ইউনিয়ন ও ভিয়াইল ইউনিয়নের কয়েকটি ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে নেই কোন সাবান পানির ব্যবস্থা বা হ্যানস্যানিটাইজার। ফলে ইটভাটা শ্রমিকদের করোনা সংক্রমণের ঝুৃঁকি থাকলেও সাবধানতা নেই তাদের মধ্যে। 
ভাটা শ্রমিক রহমান আলী, আইজার রহমানসহ আরো অনেকের সাথে কথা হলে তারা জানায়, চারদিকে কাজ করার মত কিছুই নেই। সবকিছু বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকেই কাজ না পেয়ে না খেয়ে আছে। আমরা কোন রকম ভাটায় করোনা ভয় নিয়েই এখনো কাজ করতেছি। এখানে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে আমাদেরও না খেয়ে থাকতে হবে।
আব্দুলপুর ইউনিয়নের শাহ্ বিক্স এর মালিক মোশারফ হোসেন শাহ জানান, সবকিছু বন্ধ থাকায় সবাই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সে কারণে শ্রমিকরা নিজ গরজে কাজ করছে। আমরা কাউকে জোর করে কাজ করাচ্ছি না। 
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আজমল হক জানান, সংক্রমিত কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় এলে অন্য শ্রমিক ও তাদের পরিবার সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই অবশ্যই সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।
চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দীকা জানান, শ্রমিকের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। ভাটা মালিকেরদেরও প্রয়োজনী সুরক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে।
 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by