বাংলাদেশ

‘সম্পাদনা ছাড়াই বিএনপির বক্তব্য পরিবেশন করে গণমাধ্যম’

  প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২২ , ৫:০৪:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

কোনো রকম সম্পাদনা ছাড়াই গণমাধ্যমে বিএনপি নেতাদের মনগড়া ও নির্জলা বক্তব্য প্রচার করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার (২৩ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে জাতিকে জ্ঞান দিচ্ছেন! অথচ প্রতিদিন গণমাধ্যমে বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারের বিস্তারিত সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। টেলিভিশনে তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি সরাসরি লাইভ সম্প্রচার হচ্ছে।

তিনি বলেন, টকশোসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার ও অপপ্রচার প্রতিদিন সম্প্রচারিত হচ্ছে। তারপরও তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অবান্তর প্রশ্ন তুলছেন।

বর্তমানে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শুধু সরকারি চ্যানেল নয়, বেসরকারি টেলিভিশনও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করে বাণিজ্যিক সম্প্রচারের সুবিধা ভোগ করছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একসময় শুধু বিটিভি ছিল ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম। শেখ হাসিনাই প্রথম বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ দেশে অর্ধশত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং অনলাইন টিভি, আইপি টিভিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে গণমাধ্যমের অবারিত দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, বর্তমানে সহস্রাধিক দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক পত্রিকা এবং অসংখ্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল রয়েছে। যেখানে সব রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং অধিকার সুপ্রতিষ্ঠার জন্য ‘গণমাধ্যম কর্মী আইন’ প্রণয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অথচ বিএনপির শাসনামলে সাংবাদিকদের মর্যাদা ও অধিকার বিবেচনা করা হয়েছিল শ্রম আইনের আওতায়।

বিএনপি এখন দেউলিয়া ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপির একমাত্র অস্ত্রই হলো মিথ্যাচার ও গুজব। দেশবাসী ভুলে যায়নি, বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিবিসির সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালুসহ ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল। ওই সময়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৫০০টিরও বেশি মামলা এবং ৮০০ হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি ব্রিটিশ টেলিভিশন চ্যানেল ৪-এর সাংবাদিক লিওপোল্ড ব্রুনো সরেন্তিনো ও মালিকসহ কয়েকজন বিদেশি সাংবাদিককে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালানো হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by