ঢাকা

গোপালগঞ্জে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম

  প্রতিনিধি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৫:৪৮:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নে সরকার প্রদত্ত টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন পারিবারিক কার্ডধারী সুবিধা বঞ্চিত বিপুল সংখ্যক মানুষ। পণ্য বিক্রয়ের দিন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও তারা টিসিবি’র তেল, চিনি ও ডাল কিনতে ব্যর্থ হয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ন্যায্য মূল্যের পণ্য ক্রয় করতে এসে বঞ্চিতরা বলেন, টিসিবির ডিলার নিজে না এসে অন্য আরেকজনের মাধ্যমে এ ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য পৌঁছে দেন। তারা নিজেরা লাইনে দাঁড়ানো মানুষের নিকট সরাসরি পণ্য বিক্রি না করে ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের হাতে তুলে দেন। চেয়ারম্যান এলাকায় না থাকায় মেম্বাররা তা ভাগ করে নেন। মেম্বাররা অসচ্ছল ও স্বল্প আয়ের মানুষদের বঞ্চিত করে তাদের দলীয় ও আত্মীয়-স্বজনের নিকট টিসিবি পণ্য বিক্রি করেন। তাছাড়া এ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে সরকারি কোনো কর্মকর্তাও উপস্থিত থাকেন না। গত ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারিতে কৃষি ব্যাংকের সামনে শত শত মানুষ পারিবারিক কার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকলেও অল্প কয়েকজন ছাড়া বেশিরভাগ মানুষ টিসিবির মালামাল কিনতে পারেননি। আমাদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ব্যবসায়ীক কাজে বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করায় ভাইস চেয়ারম্যানের ওপর দায়িত্ব। তিনি এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভর্তুকি দিয়ে গরিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অথচ প্রকৃত গরীব, অসচ্ছল ব্যক্তি আমরা এ কার্যক্রমের কোন সুফল পাচ্ছি না। আমাদের ইউনিয়নে আমরা অসহায় গরীব ও স্বল্প আয়ের মানুষ টিসিবির পণ্য যেন সঠিকভাবে পাই ডিসি স্যারের নিকট তার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে পারিবারিক কার্ড হাতে শাওন সরদার নামে ৮ নং ওয়ার্ডের এক ভ্যানচালক দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও টিসিবির পণ্য কিনতে না পেরে আক্ষেপ করে বলেন, কুরবানি ঈদের সময় আমাদের মহিলা মেম্বার মর্জিনা বেগমের মাধ্যমে একবার টিসিবির মাল কিনতে পেরেছিলাম। তারপর থেকে আর কোন মাল পাইনি। সংরক্ষিত ৩ নং ওয়ার্ড মহিলা ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম বলেন, আমার মাধ্যমে মাত্র ৬০/৬৫ জন হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধী পরিবার টিসিবির মালামাল কেনার সুযোগ পায়। এছাড়া চেয়ারম্যান বেশিরভাগ সময় এলাকায় না থাকায় পরিষদে টিসিবি পণ্য বিক্রি নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়। আমি প্রতিবাদ করায় এ মাসে আমার ওয়ার্ডের কাউকে কোন মাল দেয় নি তারা। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, আমি এখন প্রায় শুক্রবারে এলাকায় থাকি। তাছাড়া যে পরিমাণ পারিবারিক কার্ড তার তুলনায় সামান্য মাল আসে। কাকে বাদ দিয়ে কাকে দিবো? তাই সরকারের নিকট আবেদন এই ইউনিয়নে টিসিবি পণ্যের বরাদ্দ যেন বাড়িয়ে দেন।

অত্র ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার (উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা) মো. এনামুল হক তালুকদার বলেন, আমাকে না জানিয়েই টিসিবির মালামাল বিক্রি করেছে ডিলার। শুনেছি অনিয়ম হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by