প্রতিনিধি ২৩ আগস্ট ২০২০ , ৭:১৫:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সারাবিশে কোভিড-১৯ মহামারী যেমন এক ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। বস্তুত এই মহামারীকালীন বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত যেমন- কর্মসংস্থান, শিক্ষাব্যবস্থা, অর্থনীতি, অভিবাসন ইত্যাদি বিভিন্ন খাত বিশেষত জাতীয় স্বাস্থ্যখাতসহ অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ও কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারী সংস্থা, এনজিও নানা ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। “লাইফ এ্যান্ড লাইফ (লাল)- অনলুস” একটি ইতালী ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।
এই সংস্থা বিশে^র বিভিন্ন দেশের অবহেলিত মানুষদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষত নারী ও শিশুর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণ অর্থাৎ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান উন্নয়ণ ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় পিঙ্ক প্রজেক্ট-নামক প্রকল্পের ১ম ধাপে উক্ত এলাকায় প্রায় ৫০০ কিশোরী ও কর্মক্ষম নারীকে প্রশিক্ষণ/উঠান বৈঠকের মাধ্যমে নারী স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা তৈরীর পাশাপাশি ৫০ জন অসহায় ও অসুস্থ নারীকে স্বাস্থ্য সহায়তা প্রদান করেছে। লাইফ এ্যান্ড লাইফ (লাল)- অনলুস” বিশ^াস করে, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় মৌলিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়মাবলী মেনে চলার মাধ্যমে উক্ত এলাকার মানুষের কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পাবে এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। আর এই লক্ষ্যে “পিঙ্ক প্রজেক্ট-২.০০ জরুরী কোভিড-১৯” নামক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। যার মাধ্যমে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরী সুরক্ষা সামগ্রী বিতরনের মাধ্যমে একটি জন সচেতনতা তৈরী করা সম্ভব বলে তারা মনে করে।
এরই ধারাবাহিতায় উক্ত প্রকল্পের আরও অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে বিশেষভাবে শুক্রবার “লাইফ এ্যান্ড লাইফ (লাল)” গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন, বেতগ্রাম ১ম ব্রীজ এলাকা সংলগ্ন ইউনিয়নের জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে জরুরী স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হিসেবে ৩০০০ জনগোষ্ঠীর মাঝে ৭০০০ মাস্ক ও ৩০০০ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে উক্ত স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণের সময় “লাইফ এ্যান্ড লাইফ (লাল) – অনলুস” বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাব্বির হাসান, গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ সাহাবুদ্দিন হিটু, লাল-এর মাঠকর্মীবৃন্দ এবং এলাকার অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান শ্রীবাস বিশ^াস এই সময়োপযোগী কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন এবং জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এ ধরণের কার্যক্রমকে চলমান রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এ ধরণের জরুরী কার্যক্রম চলমান থাকা উচিত বলে মনে করে এলাকার জনসাধারণ। পাশাপাশি “লাইফ এ্যান্ড লাইফ- অনলুস” সংস্থার প্রতি আহবান করা হয় যাতে অত্র এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কার্যত্রম পরিচালনা করে। “লাইফ এ্যান্ড লাইফ- অনলুস” উপস্থিত জনসাধারণের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ও অত্র এলাকার মানুয়ের জন্য এরূপ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।