এই দাবিতে শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগে এক সমাবেশে দেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, সমাবেশ শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানের মধ্যে বৃষ্টি এলে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ থানার সামনে মেট্রোরেল সেতুর নিচে অবস্থান নেন। পুলিশ পাঁচজনকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ছেড়েও দেয়।
বৃষ্টি শেষে তারা মোড়ের দিকে এগুতে গেলে পুলিশ কর্মসূচি সমাপ্ত করতে বলেন। একপর্যায়ে বাক-বিতণ্ডার পর তাদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। বাকি বিল্লাহ নামে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
সেখানে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সাজিদ রহমান সেতু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা শাহবাগ মোড় ঘুরে থানার সামনে দিয়ে রাজু ভাস্কর্যের অভিমুখে যেতে চাইলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে পড়লে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং একজনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।”
রাজু ভাস্কর্যের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে আন্দোলনকারীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে যান। সেখানে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি মামুন অর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কাজ করেছে। কারও উপর লাঠিচার্জ করেনি।
আন্দোলনকারীদের একজনকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ আন্দোলনকারীদের কাউকে আটক করা হয়নি। থানায় এরকম কেউ নেই।”
‘করোনাকালীন প্রণোদনা হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ চাই’ দাবি জানিয়ে দুই মাসের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি ও খোলা চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।