দেশজুড়ে

চাটমোহরে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল

  প্রতিনিধি ৩ জুন ২০২০ , ৭:৫৭:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও মৎস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিলে এসেছে বর্ষার নতুন পানি। পানি আসার সাথে সাথে মা মাছ ধরতে নদী-নালা.খালি-বিলে নেমে পড়েছেন জেলেসহ এলাকার মানুষ। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দেদারছে নিধন করা হচ্ছে মা মাছ। চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহরসহ আশপাশের উপজেলার হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল। এই কারেন্ট জাল দিয়ে বিল অ লে ডিমওয়ালা মাছ নিধনে মেতে উঠেছে এলাকাবাসী। এক শ্রেণীর মৎস্যজীবিরা ডিমওয়ালা মাছ ধরে প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রি করছে। মৎস্য অধিদপ্তর কিংবা স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। 
চলনবিল অ লের নদ-নদী ও বিলে পানি এসেছে। একই সাথে দেশী প্রজাতির মাছ মিলছে। ডিমওয়ালা মাছ এখন পানিতে ঘুরছে। আর এ সুযোগে নিষিদ্ধ বাদাই ও কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে মাছ নিধন করা হচ্ছে। চাটমোহর উপজেলার রেলবাজার (অমৃতকুন্ডা), মির্জাপুর, শরৎগঞ্জ, ছাইকোলাসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ফ্রি-স্টাইলে বিক্রি হচ্ছে শত শত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল। সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী প্রকাশ্যেই কারেন্ট জাল বিক্রি করছেন। কারেন্ট জালের মাধ্যেমে প্রতিনিয়ত দেশী প্রজাতির মাছ নিধন করা হচ্ছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল, ডিকশী বিল, খলিশাগাড়ী বিলে ছোট ছোট ডিঙি নৌকা দিয়ে কারেন্ট জাল পেতে ডিমওয়াল দেশী মাছ ধরা হচ্ছে। মাছের আড়তে দেখা গেছে,ডিমে পে ভরপুর টেংরা, বাতাসী, মোয়া, পুঁটি, বোয়াল, শোলসহ দেশী প্রজাতির বিভিন্ন মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়,সাধারণ জুন-জুলাই মাসে ডিম ছাড়ে মা মাছ। এই সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু কেউ তা মানছে না। হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হওয়া কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহার হচ্ছে বিল-জলাশয়ে। 
এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বললেন, মা মাছ নিধনরোধে মাইকিং করা হবে। একই সাথে হাট-বাজারে কারেন্ট জাল বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে মৎস্য সম্পদকে রক্ষা করা হবে। 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by