বাংলাদেশ

চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

  প্রতিনিধি ৭ আগস্ট ২০২২ , ৪:৪৮:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

আরো ১ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। ফলে দেশটির বাজারে বাংলাদেশি ৯৯ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাবে। 

আজ রবিবার (৭ আগস্ট)  সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সফররত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি রপ্তানিনির্ভর। দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে চীন আরো ১ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশ এখন থেকে চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চীন আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে আরো অতিরিক্ত ১ শতাংশে ডিউটি ফ্রি সুবিধা দেবে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের বিশেষ করে গার্মেন্টস ও ওভেন প্রোডাক্টসে কিছু লিমিটেশন ছিল। আরো বেশ কিছু প্রোডাক্টে লিমিটেশন ছিল। আমরা বিকেল নাগাদ তালিকাটা হাতে পাব।

তিনি বলেন, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর দূতাবাসে ফিরে গেলে তালিকাটা প্রেসকে দেবে বলেছেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি আমাদের এই এক্সট্রা ১ শতাংশ পণ্য ও সেবায় বাংলাদেশ থেকে চীন ডিউটি ফ্রি প্রবেশের সুযোগ দেবে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনের কারখানা ও প্রযুক্তি স্থানান্তরে সহায়তা করবেন বলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন। এটি দ্রুত চালুর বিষয়ে বাংলাদেশকে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।

তিনি জানান, আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। বাণিজ্য বৈষম্য দূর করাটা আলোচনায় একটি বড় ইস্যু ছিল।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়টি তুলেছেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে চীনের জোরালো সহযোগিতা প্রয়োজন। চীন এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে গিয়েছিল। এর চূড়ান্ত সমাধান হওয়া দরকার।

শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে। চীন বলেছে, সে দেশের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ দূর করার চেষ্টা করছে। সেটা শুধু বাংলাদেশ নয়, অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানে চীন অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by