আইন-আদালত

ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা : মামলার নথি বিচারিক আদালতে পাঠানোর নির্দেশ

  প্রতিনিধি ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৬:৩৭:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

তাসলিমা বেগম রেণু

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেণুকে পিটিয়ে হত্যার মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় বিচারিক আদালত মহানগর দায়রা জজ আদালত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন সিএমএম আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২ ডিসেম্বর চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার পলাতক আসামি মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গত ২৭ জানুয়ারি মহিউদ্দিন আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তার জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান। ফলে মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় সোমবার আদালত বিচারিক আদালতে মামলার নথি পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক গত ১০ সেপ্টেম্বর মহিউদ্দিনসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভূক্ত অপর আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু এবং জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ। আসামিদের মধ্যে জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়েছে। অন্য আসামিদের মধ্যে রিয়া বেগম, বাচ্চু মিয়া, শাহীন, মুরাদ ও বাপ্পি জামিনের আছেন।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডা প্রাইমেরি স্কুলে সন্তানকে ভর্তির জন্য খোঁজখবর নিতে গিয়ে তাসলিমা বেগম রেনু ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে নিহত হন। ওই ঘটনায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু। পরবর্তীতে মামলার বাদি বাড্ডা সরকারি প্রাইমেরি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ বেগমসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিাকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও আসামি চেয়ে আদালতে সম্পূরক এজাহার দাখিল করেন।

নিহত রেনুর ১১ বছরের ছেলে তাহসিন আল মাহির ও চার বছরের মেয়ে তাসনিম তুবা রয়েছে। ঘটনার দিন তুবাকে ভর্তির খোঁজখবর নিতেই বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলেন রেনু। রেনু লেখাপড়া শেষে আড়ং ও ব্র্যাকে চাকরি করেন। স্কুলেও করেছেন শিক্ষকতা। প্রায় দুই বছর আগে স্বামী তসলিম হোসাইনের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এর পর থেকে মায়ের সঙ্গে মহাখালীর ওয়্যারলেস গেটের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করছিলেন। ছেলেকে ছয় মাস আগে তার বাবা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা বড়ভাই মো. আজগার আলীর কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন রেনু।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by