বাংলাদেশ

জিয়াউর রহমান একজন খুনি ছিলেন : তথ্যমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ১৪ আগস্ট ২০২১ , ৬:০৪:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

শোক দিবসের আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কার্যত একজন খুনি ও বিশ্বাসঘাতক ছিলেন।’

শনিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইন্সটিটিউট হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। এই খুনির দলের রাজনীতি যারা করেন তারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে অস্বীকার করেন। তারা একজন খলনায়ককে নায়ক বানানোর অপচেষ্টা চালান।’

বিএনপি নেতাদের খুনি ও বিশ্বাসঘাতকের রাজনীতি ছাড়ার অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির সামনে জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচন করা হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চালু করতে হয়, ইতিহাস ও রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে হয়, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। একইসঙ্গে যারা বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে খাটো করে দেখেন ও বঙ্গবন্ধুকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালান তাদের রাজনীতিও বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। একজন খুনি ও বিশ্বাসঘাতকের পক্ষে রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিৎ নয়।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে অনেক স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আগে আমরা বলতাম ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ রচনা করতে। এখন বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে ক্ষুধাকে আমরা জয় করেছি।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনাকালে বহু মাস-সপ্তাহ লকডাউন ছিল। শুরুতে কিছু বুদ্ধিজীবী ও টকশোবিদ যারা রাত ১২টার পর টিভির পর্দা গরম করেন, তারা অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন যে দেশে হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মরবে, রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। তাদের সেই আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করেছেন শেখ হাসিনা। এই দেড় বছরে একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি করোনার টিকা নিয়ে কত কুৎসা রটনা ও অপপ্রচার চালাল, পরে আবার নিজেরাই টিকা নিল। বিএনপির নেতারা টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে ‌‘গাধার জল গোলা করে খাওয়া’র মতো কাজ করেছে। শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। বিএনপি মনে করেছিল, আমরা টিকা সংগ্রহ করতে পারব না। গণটিকা কার্যক্রম যখন শুরু হয়েছে তখন তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন রাশেদ প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by