বাংলাদেশ

জিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে প্রশ্ন সাঈদ খোকনের

  প্রতিনিধি ১ জুন ২০২১ , ৪:১৩:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রকাশ্য আদালতে না করতে পারা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

 

সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউট মিলনায়তনে শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

সাঈদ খোকন বলেন, গতকাল (সোমবার) সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো। বেগম খালেদা জিয়া ৩ বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বিএনপি তার প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বিচারই চায়নি। বিচার হবে কোথায় থেকে? যেটা হয়েছে সেটা সেনা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে। কিছু মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। এই বিচার করতে না পারা একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিএনপির সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। প্রকাশ্য আদালতে করতে না পারা খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।

তিনি আরো বলেন, আজ যদি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রকাশ্য আদালতে হতো বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারতো কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটে ছিলো। কী ছিল তার উদ্দেশ্য ও রহস্য। এই হত্যাকাণ্ড আজও রহস্যময়ী হয়ে রয়েছে। দেশের মানুষ জানতে চায়, কেন এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হলো না। জনগণ আশা করে বিএনপি বিষয়টি স্পষ্ট করবে। আমি এটা বলতে চাই না, বিএনপি এর সঙ্গে জড়িত ছিলো বা ছিলো না।

সাঈদ খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রচলিত আইনেই করেছে। ইচ্ছে করলে তিনি প্রচলিত আইনের বাহিরে গিয়েও করতে পারতেন। বিচার ব্যবস্থার প্রতি তার আস্থা ছিলো। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও প্রচলিত আইনে করেছেন। রায়ও কার্যকর করেছেন।

তিনি বলেন, আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আজ সারাবিশ্বে অন্যতম দুঃখী-দরিদ্র, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। শেখ হাসিনাকে আমাদের দেওয়ার মতো কিছু নেই। তিনি বাবা-মা’সহ জীবনের সবকিছু হারিয়েছেন। আমাদের দেওয়ার আছে শুধু বুক ভরা ভালোবাসা।

ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর আলীর সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সাদেক মিঠু, ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by