বাংলাদেশ

জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট: সিইসি

  প্রতিনিধি ১৭ অক্টোবর ২০২২ , ৫:৩০:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

জেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এ নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। আমরা সন্তুষ্ট।

দেশের ৫৭টি জেলায় দ্বিতীয় জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষে সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, শুরু থেকেই আমরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে সহিংসতা-গোলযোগ-গণ্ডগোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। কেন্দ্রগুলো থেকে যে তথ্য পেয়েছি, তাতে আমরা সন্তুষ্ট।

সিইসি বলেন, সিসিটিভির মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নতুন অভিজ্ঞতা। আগামীতে এ অভিজ্ঞতা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দেবে। আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটাররা এখন সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন।

নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গাইবান্ধা নির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে গুরুতর অনিয়ম লক্ষ্য করেছি। যার ফলে কমিশন বাধ্য হয়ে নির্বাচনটা বন্ধ করে দিয়েছে। গাইবান্ধা নির্বাচন থেকে একটা মেসেজ এসেছে। তা হলো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা নির্বাচনে অনিয়ম হলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া যাবে। আমাদের মনে হয় এর একটি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট এই নির্বাচনে পড়েছে।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর ২টায়। এক হাজার ৪০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন ভবন থেকে পুরো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন সিইসি।

এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৭টি জেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২ জন, সদস্য পদে এক হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন রয়েছেন। ৫৭টি জেলায় সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি ও ভোটকক্ষ ৯২৫টি। মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন।

এছাড়া নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন মহিলা সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশনায় স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এ দুই জেলায় কোনো নির্বাচনের প্রয়োজন হচ্ছে না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by