দেশজুড়ে

ঝিনাইগাতী চাল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : অবশেষে মামলা

  প্রতিনিধি ১১ মে ২০২০ , ৮:০৪:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার মালঝিকান্ধা ইউনিয়নের বাতিয়াগাও গ্রামে চাল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ  হয়ে অবশেষে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা হয়েছে ওই ইউনিয়নে সম্প্রতি এক মহিলা ইউপি সদস্য ২৫ কেজি চাল আত্বসাতের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ হাতে নাথে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করেন বিজ্ঞ আদালত ওই ইউপি মহিলা সদস্যকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন

এই ঘটনা এবং পূর্ব শুত্রতার জের ধরে দু পক্ষের সংঘর্সের সূত্রপাত হয় বলে অভিযোগ কপির মাধ্যমে জানা গেছে জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মৃত কাশেম আলীর ছেলে মো: চাঁন মিয়া, সেকান্দর আলীর ছেলে মুকুল মিয়া , ওয়াহাব ডিলারের ছেলে বাক্কার মিয়া সহ ১৪ জন এবং অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের নামে অভিযোগ এনে  ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৪২৭/৫০৬/১১৪ ৩৪ ধারায় তারিখ //২০ইং মামলা নং ০২ ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দ্বায়ের করেছেন

মামলার বিবরণে প্রকাশ গত //২০২০ ইং তারিখে সন্ধ্যা ঘটিকার সময় ওই গ্রামের মোজাফর আলীর ছেলে : মজিদ মিয়ার বসত বাড়ির আঙ্গিনার পূর্ব পাশে জনৈক্য আজিম উদ্দিনের দোকান হতে ফেরার পথে  সেখানে পৌছা মাত্রই সকল বিবাদীগণ আঙ্গিনায় প্রবেশ করে বাদীকে দেখা মাত্রই ১২ নং বিবাদি বিল্লাল হোসেন এর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া বাম পায়ের হাঁটুর নিচে বাড়ি মা রিয়া নিলাফুলা বেদনাযুক্ত জখম করে আহত অবস্থায় ডাক চিৎকার করে  দৌড়ে বসত বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে ///// নং সাক্ষী বাচাঁনোর জন্যে আসলে মামলার ১নং বিবাদী মো: চাঁন মিয়া হুকুম দিয়ে সবাইকে খুন করিতে বলে সকল আসামী তার হুকুম পেয়ে ধারালো রামদা, ফালা, লোহার রড বাশের লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করলে অনেকেই গুরুত্বর আহত হয়

এতেও ক্ষান্ত না হয়ে  বিবাদীগণ :মজিদ, উবাইদুল, হামিদুল, আজাদুল ইসরাফিল মিয়াকে মারপিট করে নিলাফুলা বেদনাযুক্ত জখম করে এবং মামলার ৩জন সাক্ষীর বাড়িতে অনাধিকারভাবে প্রবেশ করে বসতবাড়ির টিনের বেড়াসহ  ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করে নগদ ৫০ হাজার টাকা, একটি খাসি যার মূল্য ১০ হাজার টাকা স্বর্ণালংকার ৬০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়

সংঘর্সে : মজিদ, উবাইদুল, হামিদুল ইসলাম, আজাদুল ইসলাম ইসরাফিলকে একটি এম্বুলেন্স অটোরিকশা যোগে দ্রুত শেরপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডা: মজিদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন বাকি ৪জনকে শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি করেন

মামলার বাদী জাহিদুল ইসলাম বলেন আমি ন্যায় বিচারের জন্যে থানায় মামলা করেছি অন্যায় ভাবে আমাদের উপর আক্রমন করে বসতবাড়িতে হামলা চলিয়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি করেছে একজন রোগীর অবস্থা আশংকাজনক এর ন্যায় বিচার চাই বিবাদী গণের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি

ব্যাপারে মামলার  তদন্ত কর্মকর্তা এস আই অহিদুজ্জামান জানান মামলার তদন্ত চলছে আসামীরা পলাতক রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের জন্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে

আরও খবর

Sponsered content

Powered by