খুলনা

ঝড়ে দুবলার চরে ১৮ ট্রলারডুবি, ৩ জেলে নিখোঁজ

  প্রতিনিধি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৭:২০:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ১৮ ফিশিং ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিন জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে দুবলার চর ও আলোর কোল এলাকায় শুঁটকি সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করা ট্রলারগুলো ঝড়ের কবলে পড়ে।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন- মো. শাহিনুর রামপালের দূর্গাপুর গ্রামের মো. ইদ্রিসের ছেলে, মো. মোতাচ্ছির ইসলামাবাদ গ্রামের মো. ছোট্টোর ছেলে এবং সাতক্ষীরার মিজানুর রহমান।

ট্রলারডুবির পরপর রাত থেকেই ওই এলাকায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। তাদের সঙ্গে জেলেদের শতাধিক ট্রলার উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।

বন বিভাগের দুবলা ফরেস্ট স্টেশনের ওসি প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় এবং দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত নভেম্বরে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুঁটকি প্রক্রিয়া করতে দুবলায় সামুদ্রিক মাছ ধরতে আসেন প্রায় ৩০ হাজার জেলে। এসব জেলেরা দুবলার চরসহ প্রায় আটটি চরে অস্থায়ী বসতি গড়ে তোলেন। সেখানে থেকেই তারা সাগরে মাছ ধরেন। শুক্রবারও মাছ ধরতে তারা সাগরে যান। কিন্তু হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় ১৮টি ফিশিং ট্রলার। এসময় দুবলার চরে আটটি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা আলোরকোল এলাকায় আরও ১০টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়।

ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, পরে অন্য ট্রলারের সাহায্যে ১৫৪ জেলে ফিরে আসতে পারলেও রামপালের দূর্গাপুর গ্রামের মো. ইদ্রিসের ছেলে মো. শাহিনুর ও ইসলামাবাদ গ্রামের মো. ছোট্টোর ছেলে মো. মোতাচ্ছির নিখোঁজ রয়েছেন। জেলেদের উদ্ধারে দুবলার ১০০ ট্রলার ও কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ অভিযানে নেমেছে।

তিনি আরও বলেন, দিনে বৃষ্টি থাকলেও সন্ধ্যায় আকাশের তারা দেখা গিয়েছিল। ফলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে এরকম ঝড় হবে, তা জেলেদের কেউ ধারণা করেনি। অনেক সময় ঝড়ে ট্রলার উল্টে গেলে বা পানিতে ডুবে গেলেও ট্রলারের ভেতরের মাছ রাখার খোলে বাতাস থাকলে পুরোপুরি তলিয়ে যায় না। পানিতে আধ ডোবা হয়ে কিছুটা সময় ভেসে থাকে। এরকম থাকলে সেসব ট্রলার উদ্ধার করে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে।

এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় দুবলার চরের প্রায় দুই কোটি টাকার শুঁটকি মাছ নষ্ট হয়েছে বলেও জানান ওসি প্রহ্লাদ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by