দেশজুড়ে

‌‘টিউবওয়েলের পানি পান করে’ অসুস্থ ১৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

  প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ৬:৪৯:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

‌‘টিউবওয়েলের পানি পান করে’ অসুস্থ ১৪ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

ফরিদপুরের সালথায় তীব্র দাবদাহের মধ্যে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে একটি স্কুলের তিনি শিক্ষক ও ১১ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনা ঘটে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, পানি খেয়ে নয়- তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

অসুস্থরা হলেন- শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম, শুকলা রানী শিল, রেবেকা আক্তার এবং শিক্ষার্থীরা হলেন রানিতা, নাহিদ, নাইমা, সাবিহা, রামিসা, মো. হাসান, শাহিন হোসেন, লামিয়া, পিয়াস, সুমনা আক্তার, লিমন।

রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অসুস্থ হয়ে পড়া সহকারী শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর আজ রোববার স্কুল খোলা হয়। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি। তীব্র গরমে আমরা সবাই পানির পিপাসায় ভুগছিলাম। তখন সবাই স্কুলের টিউবওয়েল থেকে ঠান্ডা পানি পান করি। 

তিনি আরও বলেন, পানি পান করার কিছুক্ষণ পর একে একে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বমি করতে থাকেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় এক যুবক এসে আমাকে বলেন, স্যার ওই টিউবওয়েলের পানি খেয়েন না, পানিতে বিষ মেশানো হয়েছে। পরে অসুস্থদের দ্রুত সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মমিন বলেন, টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে দুজনের চিকিৎসা এখনো চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই শঙ্কামুক্ত।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফায়েজুর রহমান বলেন, আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঘটনাস্থলে এসে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি জানিয়েছেন, টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ পাননি।

সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, আজ স্কুল খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষাথীরা সকালে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ পড়লে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাইনি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরেও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখব। সোমবার (২৯ এপ্রিল) থেকেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিরাপদ পানি পান করতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by