ঢাকা

আশুলিয়ায় ঈদকে সামনে রেখে প্রস্তুত আয়শা এগ্রো ফার্ম

  প্রতিনিধি ৭ জুন ২০২৩ , ৭:৪৯:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মশিউর রহমান, আশুলিয়াঃ

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন দক্ষিণ গাজিরচট দুদু মার্কেট এলাকার আয়শা এগ্রো ফার্মে গবাদি পশু কেনা বেচার জন্য ব্যাপক প্রস্তিুতি নিয়েছে। হাটের ঝামেলা এড়িয়ে সুস্থ সবল উন্নত জাতের গরুর কারণে আয়শা এগ্রো ফার্ম দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ কারণে ইতোমধ্যেই বিক্রি শুরু হয়েছে কোরবানীর পশু।

এছাড়াও এ ফার্মের গরুগুলো ক্ষতিকারক ক্যামিকেল মুক্ত ও কোনো প্রকার ইনজেকশন প্রদান না করে দেশীয় খাবার খরকুটা, ভূষি, কুরা ও ঘাস খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়ে থাকে। এই কারণে কোরবানীর ঈদে এ ফার্মের গরুগুলোর চাহিদা তুলনামূলকভাবে একটু বেশি।

জানা গেছে, আয়শা এগ্রো ফার্মে পাকিস্তান শাহীওয়াল, ফিজিয়ান ও শাহীওয়াল, প্রজাতির বেশ কিছু গরু এখনও পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি গরুর ওজন রয়েছে ১০থেকে ১৩ মন। এই ফার্মের গরুগুলোর মূল্য হবে ৩লাখ থেকে শুরু করে ১০লাখ টাকা পর্যন্ত।

খামারে কর্মরত শ্রমিকরা জানান- খড়, ভূষিও ঘাস খাওয়াইয়ে এক বছর লালন-পালনের পর গরুগুলোকে কোরবানীর ঈদে বিক্রি করেন তারা। তাই এ ফার্মে কোরবানী ঈদে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।

আয়শা এগ্রো ফার্মের এক কর্মচারী জানান, আমি ১৬বছর ধরে এই খামারে কাজ করে আসছি। এখান থেকে  অনেকের বেকার সমস্যা লাঘব হয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে কাজ করি। এখান থেকে যে টাকা পাই তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে দিন যাপন করে আসছি। আমরা গরুগুলোকে সঠিক সময় স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়াই ও দেখাশোনা করে থাকি। যাতে কোরবানীর ঈদে গরুগুলোকে ভালো মূল্যে বিক্রি করা যায়। এছাড়াও এ ফার্মের গরুগুলোর কোনো সমস্যা দেখা দিলে উপজেলার চিকিৎসকের দ্বারা আমরা চিকিৎসা দিয়ে থাকি।

আয়শা এগ্রো ফার্মে গরু কিনতে আসা ক্রেতা দিন মোহাম্মদ বলেন, আমি ও আমার পরিচিতজনরা নিয়মিত এ ফার্ম থেকে কোরবানীর পশু কিনতেছি তাই এবারও আগে ভাগেই কিনতে চলে আসলাম। কারণ এখানে স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত জাতের মোটাতাজা গরু পাওয়া যায়। তাই প্রতি বছরই এ ফার্মের গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকে। তিনি আরো বলেন, হাট থেকে গরু কিনতে গেলেই ঝুকি থেকে যায়। কারণ দূর-দূরান্ত থেকে আসা গরুগুলোকে মোটাতাজা করণ ঔষধ খাওয়ানো হচ্ছে কি না এটা গরু দেখেই বুঝার উপায় নেই। কোরবানীর প্রথম শর্ত হলো সুস্থ সবল গরু কোরবানী দেয়া। এছাড়া গত বছর যেহেতু এ ফার্ম থেকে গরু কিনে মাংস ভালোই পেয়েছি। তাই এবারও কিনতে এসেছি।

এব্যাপারে আয়শা এগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান মো.আবুল হোসাইন বলেন, সার্বক্ষনিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে খামার মনিটরিং করে থাকি। কোনো গরু অসুস্থ হলে সাথে সাথেই পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেই। আমাদের ফার্মে কাস্টমারদের কথা বিবেচনা করে কোরবানির জন্য গরু লালন পালন করেছি। ক্রেতার তার সাধ্য অনুযায়ী এই খামারে ছোট থেকে বড় সাইজের গরু আছে। যা তারা খুব সহজে ক্রয় করতে পারবে। খামারে গরু বেশি দামেরও আছে, কম দামেরও আছে এবং মাঝারি দামেরও আছে। এবছর অনেক গুলো গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি গরু বিক্রিও করেছি। ন্যাচারাল খাবারের মাধ্যমে গরু গুলোকে মোটাতাজা করা হয়েছে। আয়েশা এগ্রো ফার্ম সবার জন্যই উন্মুক্ত যে আসে সেই দেখতে পারে কি খাওয়াচ্ছি, কিভাবে লালন পালন করে থাকি। আসলে আমাদের বাড়িতে ১টা গরু যেভাবে পালন করা হতো ঠিক ঐ পদ্ধতিতেই গরু পালন করা হয়। 

এবিষয়ে সাভার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম শিপলু জানান, আসন্ন ঈদুল আযহা আমাদের দুয়ার কাড়া নাড়ছে। এবছর সাভার উপজেলায় প্রায়ই সাড়ে ৩ হাজার খামারে ৪০ হাজার গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এসব গরু পালনে তাদের কর্মীরা মাঠপর্যায়ে খামারিদের পরামর্শ দিয়েছেন। তারা খামারিদের নিয়ে নিয়মিত উঠান বৈঠক করেছেন। ঈদে নিরাপদ মাংস যাতে মানুষ পায়, সে জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by