বাংলাদেশ

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌযানে অগ্নিকাণ্ড, ৮ বাংলাদেশি নিহত

  প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৫:১৮:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌযানে অগ্নিকাণ্ড, ৮ বাংলাদেশি নিহত

লিবিয়া থেকে নৌকায় সাগরপথে ইউরোপ যাত্রাকালে তিউনিসীয় উপকূলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ অভিবাসী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি এবং একজন পাকিস্তানি নাগরিক। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ২৭ বাংলাদেশি নাগরিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

১৮ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়ার জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত ৪টা ৩০ মিনিটে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। এদের মধ্যে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন ছিল নৌকার চালক। দুর্ঘটনার পর চালকসহ ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিসরের ৩ জন ও নৌকা চালক রয়েছেন (মিশরীয় নাগরিক)।

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌ-দুর্ঘটনায় উদ্ধার বাংলাদেশিদের সার্বিক কল্যাণ ও মৃত্যুবরণকারীদের তথ্য নিশ্চিত করতে দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়ার নেতৃত্বে একটি টিম ১৯ ফেব্রুয়ারি তিউনিসিয়ার জারজিস শহরে পৌঁছেছেন। দূতাবাসের টিম ইতোমধ্যে নৌ-দুর্ঘটনায় জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হতাহত বাংলাদেশিদের প্রাথমিক পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে মাদারীপুর জেলার ০৫ জন এবং গোপালগঞ্জ জেলার ০৩ জন বাসিন্দা। মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশিদের প্রাথমিক পরিচয় নিম্নরূপ- 
মাদারীপুরের রাজৈরের সজল, রাজৈরের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, রাজৈরের খালিয়ার মামুন সেখ, 
রাজৈরের মিজানুরের ছেলে কাজী সজীব, একই উপজেলার কেশরদিয়ার কায়সার, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের রিফাত, একই উপজেলার ফতেহপট্টির রাসেল, একই উপজেলার ইমরুল কায়েস আপন।

এছাড়া মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার আমগ্রাম ইউনিয়নের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে মনতোষ সরকার।

দূতাবাসের পক্ষ থেকে নিহত বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত এবং স্থানীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মৃতদেহ দেশে পাঠানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by