ঢাকা

৩ ডিসেম্বর কোটালীপাড়া হানাদার মুক্ত দিবস

  প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৭:৩৬:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

৩ ডিসেম্বর কোটালীপাড়া হানাদার মুক্ত দিবস

৩ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তি যুদ্ধে চুড়ান্ত বিজয়ের দ্বার প্রান্তে এসে ২ ডিসেম্বর তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহাকুমার এই জনপদটি পাক হানাদার ও তাদের এ দেশীয় দোষর রাজাকার, আলবদর, আল সাম্শদের কবল থেকে ঘাঘর যুদ্ধের মধ্যদিয়ে মুক্ত করে বিখ্যাত হেমায়েত বাহিনীর সম্মুখ যোদ্ধারা।

৩ ডিসেম্বর উড়ানো হয় স্বাধীন দেশের পতাকা। সেই থেকেই এই দিনটিকে পাক হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে স্মরণ করে আসছে বীর মুক্তিযোদ্ধা সহ অত্র জনপদের স্বাধীনতাকামী সাধারণ জনতা।

হেমায়েত বাহিনীর বীর সেনানী, সাবেক কমান্ডার- হাজী লুৎফর রহমান শেখ, শামসুল হক মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা- মোদাচ্ছের হোসেন ঠাকুর, মতিয়ার রহমান শেখ, নিজাম উদ্দিন হাওলাদার, তৈয়াবুর রহমান সরদার সহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধা ৭১ এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান- ২ ডিসেম্বর বাহিনী প্রধানের নির্দেশে সমস্ত যোদ্ধারা সংঘবদ্ধভাবে ঘাঘর যুদ্ধে জয়ী হওয়ার পর পার্শবর্তী কুরপালা এবং গোপালপুর গ্রাম ও হানাদার মুক্ত করা হয়, ওই যুদ্ধে ৪ জন রাজাকারকে হত্যা করা হয়, পর দিন ৩ ডিসেম্বর আমরা কোটালীপাড়া স্বাধীন ঘোষণা করি।

তারা আরো জানান- এ ছাড়াও যুদ্ধ চলাকালীন ৯ মাসে অত্র উপজেলার সিকির বাজার কালাবাড়ী পবনার পাড় কুশলা নাগরা টুঙ্গিপাড়ার বাশবাড়ীয়া সহ বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় ১১/১২ টি যুদ্ধ সংঘঠিত হয় দখলদার পাক হায়নাদের বিরুদ্ধে। এ সব যুদ্ধে আমাদের ১২ জন সহযোদ্ধা শাহাদৎ বরণ করেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।

অন্য দিকে রামশীলের যুদ্ধে আমাদের বাহিনী প্রধান হেমায়েত উদ্দিন (পরবর্তীতে বীর বিক্রম উপাধিতে ভুষিত) শত্রুর বুলেটের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বীরদর্পে লড়াই চালিয়ে গেছেন শত্রু সেনাদের বিরুদ্ধে। এভাবেই জীবন বাজী রেখে, আত্মত্যাগ আর রক্তক্ষয়ী সম্মুখ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাক হানাদার মুক্ত হয় কোটালীপাড়া। স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। এ জাতি লাভ করে লাল সবুজের পতাকা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by