আন্তর্জাতিক

থমথমে ভারতের মণিপুর, রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি কংগ্রেসের

  প্রতিনিধি ৭ মে ২০২৩ , ৬:২৪:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক :

ভারতের মণিপুর রাজ্যে এখনো সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গত বুধবার থেকে চলতে থাকা সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু জায়গায় জারি রয়েছে কারফিউ। বন্ধ ইন্টারনেট। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি শাসিত উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানালেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।

টুইটারে শশী লিখেছেন,মণিপুরে যেভাবে সহিংসতা চলছে তাতে যে কোনো সঠিক চিন্তার মানুষ প্রশ্ন তুলবেন সেই সুশাসন কোথায় যার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যে বিজেপিকে ফেরানোর এক বছরের মধ্যে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় মণিপুরের ভোটাররা নিজেদের প্রতারিত ভাবতেই পারেন। এটাই রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সময়। রাজ্য সরকার তাদের কাজ করতে ব্যর্থ।

এদিকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন শনিবার রাতে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, রোববার সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চূড়াচাঁদপুরে কারফিউ সাময়িক ভাবে তোলা হয়েছে। সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো হয়েছে বলেই প্রশাসনের দাবি।

মূলত গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মণিপুরে সংঘাত চলছে। এর মূলে রয়েছে মেতেই জনজাতির সঙ্গে আদিবাসীদের সংঘাত। মণিপুরের মেতেই জনজাতিকে তফসিলি উপজাতির তকমা দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। মণিপুরের বিজেপি সরকার সেই দাবি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তাতেই ক্ষুব্ধ কুকিসহ অধিকাংশ আদিবাসী সংগঠন।

তাদের বক্তব্য, মেতেইরাও যদি তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি পেয়ে যায়, তাহলে আদিবাসীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। তাছাড়া, মণিপুরের বিজেপি সরকার স্থানীয় বনাঞ্চলগুলোতে সমীক্ষা চালাচ্ছে। আদিবাসীদের আশঙ্কা, সরকার এবার বনভূমি ধ্বংস করতে চলেছে।

তার চেয়েও তাৎপর্যপূর্ণভাবে গত কয়েক মাসে সেরাজ্যে অন্তত তিনটি গির্জা ভেঙেছে প্রশাসন। সরকারের দাবি, ওই গির্জাগুলো ছিল বেআইনি। সরকারের এই পদক্ষেপে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আদিবাসী খ্রিস্টানরা।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by