চট্টগ্রাম

দোহাজারীতে পানিশূন্য সাপছড়া খাল, পুনর্খননের দাবি

  প্রতিনিধি ৩ মার্চ ২০২৪ , ৩:২৭:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

দোহাজারীতে পানিশূন্য সাপছড়া খাল, পুনর্খননের দাবি

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভায় সাপছড়া খালটি নাব্যতা সংকটের কারণে শুকনো মৌসুমে মরা খালে পরিণত হয়। পলি জমে তলা ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে খালটির গভীরতা না থাকায় শুকনো মৌসুমে সাঙ্গু নদীর জোয়ার-ভাটার পানি ওঠে না এই খালে। ফলে সাঙ্গু নদীর কাছাকাছি হওয়া সত্ত্বেও সেচ সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পূর্ব দোহাজারীর কয়েক হাজার কৃষক।

জানা যায়, সাপছড়া খালের নাব্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য, বর্তমান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এম.পির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালের মার্চ মাসে খালটি একবার খনন করা হয়েছিলো। এরপরের বছর শুকনো মৌসুমে খালটিতে পানি পাওয়া গেলেও দুই পাড়ের মাটি খালে পড়ে তলা ভরাট হয়ে যাওয়ায় এটির গভীরতা কমে যায়। ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা আর শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে চাষাবাদ ব্যাহত হয়।

এরপর বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর উদ্যোগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে স্মলহোল্ডার অ্যাগ্রিকালচার কম্পেটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) এর আওতায় খালটির এক দশমিক পাঁচ কি.মি. অংশ খনন করা হলেও তার সুফল পাচ্ছেন না কৃষকেরা। খালের গভীরতা না থাকায় খালটিতে সাঙ্গু নদীর পানি প্রবেশ করতে পারছে না। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবজি ভাণ্ডার খ্যাত শঙ্খ চরের চাষীরা গভীর নলকূপ স্থাপন করে ডিজেল চালিত ইঞ্জিনের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে তা দিয়ে শুকনো মৌসুমে ক্ষেতে সেচ দেন।

ভূ-উপরিস্থ পানি না থাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নিচে নেমে গেছে। এদিকে জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য গভীর নলকূপ থেকে দেদারসে পানি উত্তোলন করায় ভূ-গর্ভস্থ পানির উৎসের ওপর চাপ পড়েছে। ফলে পূর্ব দোহাজারী এলাকার অধিকাংশ নলকূপ দিয়ে পানি পেতে সমস্যা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই অবস্থা আরো ভয়াবহ রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর কৃষকদের নির্ভরশীলতা কমাতে সাপছড়া খাল পুনঃখনন করে ব্যবহার উপযোগী করার পাশাপাশি খালে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানির মজুদ বাড়ানো ও শুকনো মৌসুমে পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা জরুরি। সাঙ্গু নদী থেকে সাপছড়া খালে শুকনো মৌসুমে পানি প্রবেশ করলে খালের দুই পাড়ের জমি সেচের আওতায় আসবে।

এতে প্রায় দুই হাজার কৃষক ভীষণ উপকৃত হবে এবং কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) দোহাজারী জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আজমানুর রহমান বলেন, “সেচ সুবিধার জন্য নয়, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য এসএসিপি’র আওতায় সাপছড়া খালের এক দশমিক পাঁচ কি.মি. অংশ খনন করা হয়েছে।”

আরও খবর

Sponsered content

Powered by