বরিশাল

দৌলতখানে মহিলা মেম্বারের নেতৃত্বে হামলা ও দোকান লুটপাট: আহত ৩

  প্রতিনিধি ১১ জানুয়ারি ২০২৩ , ৩:১৭:৪১ প্রিন্ট সংস্করণ

নিয়াজ মাহমুদ জয়, ভোলা প্রতিনিধি:

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার রহিম বেগম ও তার স্বামী মোঃ শাহ আলমের নেতৃত্বে দোকানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় ভাংচুরের পর দোকান থেকে নগদ দু’লাখ ৭৫ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করে নেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তোভোগী।

গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে এঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মাস পূর্বে তার ভাড়া দোকান ভেঙ্গে দোকানে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে সে বিজ্ঞ আদালতে বাদী হয়ে মোঃ রাসেল, মোঃ শাহ আলম, সংরক্ষিত সদস্য রহিমা বেগম, মোঃ আবু তাহের, মিনহাজ বেগম, মোঃ হোসেন, মোঃ মাজেদ ও নূর নাহারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তারা সবাই সৈয়দপুরে ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পরবর্তীতে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে সোমবারে সকালে দোকানের সামনে বেচ বসাকে কেন্দ্র করে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও তার স্বামীর নেতৃত্বে দেশিও অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেন। পরবর্তীতে গুরুত্বর অবস্থায় আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই।

ভুক্তভোগী মোঃ শাহজাহান জানান, গত দু’মাস আগে দোকানকে কেন্দ্র করে আমার উপরে হামলা করে এবং দোকান থেকে মালামাল লুট করে। আমি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে দোকান ঘর ভাঙ্গা এবং লুট মামলা দায়ের করি। যাহার নং-১৭২/২২ ও এমপি মামলা নং-৯১/২২। উক্ত মামলা চলমান আছে। সোমবার সকালে আমি দোকানের সামনে বেচ বসাই। এরই সূত্রপাত ধরে আমাকে লক্ষ করে গালিগালাজ করে। আমি গালিগালাজের কারন জানতে চাইলে মেম্বার রহিম ও তার স্বামী শাহ আলমের নেতৃত্ব তার আত্মীয়দের নিয়ে আমার উপর তাহাদের হাতে থাকা মরিচের গুরা চোখে মারে এবং আমাকে এলোপাথারী কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়া পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর জখম করে। তখন আমার ডাক চিৎকারে আমার স্ত্রী আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করেন। একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার উপর লক্ষ্য করে আঘাত করলে আমার ডান হাতের হাড় ভেঙে পেলে এবং স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তার স্ত্রী জান্নাত বেগম বলেন, শাহ আলম আমার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। তখন আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও এগিয়ে আসলে তারা আমাদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি প্রদান করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সময় ১০ তারিখ রাত অনুমান ১টার সময় তারা একত্রিত হয়ে আমাদের দোকান ঘর ভাংচুর করে প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন কর এবং আমাদের দোকানে থাকা ফ্রিজ, এলইডি টিভি ও দোকানে থাকা মালামাল নিয়ে যায় যাহার অনুমান মূল্য পচাত্তর হাজার টাকা। এবিষয় আদালতে মামলা ও থানায় অভিযোগ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে হুমকি দিতেছে।

এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য রহিমা একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি, তবে আরেক অভিযুক্ত রাসেল এসব ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তারা নিজেরা নিজেরা এগুলা ভাঙচুর করেছে।
দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, এই ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by