বাংলাদেশ

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারের উদাসীনতা-ব্যর্থতাই দায়ী : ফখরুল

  প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২২ , ৫:২৫:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বিএনপি মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষজনের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রত্যেকটি পণ্যের মূল্য যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে নিম্নআয়, মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষজন হিমশিম খাচ্ছে। তারা আজ অসহায়।

তিনি আরো বলেন, এর জন্য আমরা সবসময় সরকারের উদাসীনতা, চরম ব্যর্থতাকেই দায়ী করছি।

তিনি আজ রবিবার (১৩ মার্চ) পৌর শহরের কালিবাড়িতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের দুই-একজন মন্ত্রী বলেছেন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সাথে নাকি বিএনপি জড়িত। আমি তো কোনোদিন ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম না, তাহলে ব্যবসায়ীদের সাথে আমার সম্পর্ক কেমন করে হবে। এখন বিএনপি যদি এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাহলে উনারা সরকারে কেন আছে? বিএনপির হাতে ক্ষমতা দিয়ে দিক। এ জাতীয় কথাবার্তা বলে তারা এ অবস্থাটাকে আরো হাস্যকর অবস্থার দিকে নিচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, জনগণের সাথে আজ তারা তামাশা শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের আজ নাভিশ্বাস উঠেছে। মানুষজন চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছে না। তাই তারা উদ্ভট কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার যেহেতু জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা না থাকায় এমনটা করতে পারছে। আজকে তাদের চরম ব্যর্থতার জন্য পদত্যাগ করা উচিত এবং নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত। এই সরকার টিকে আছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে। কাজেই তারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে অন্যায়ভাবে। বিচার বিভাগ, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে তারা নিয়ন্ত্রণ করে।

তিনি বলেন, আজকে সরকার সব রাষ্ট্রযন্ত্রগুলোকে এমন বাজেভাবে ব্যবহার করার ফলে আজ যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা হলো, আজকে ভিন্নমত যারা পোষণ করছে, জনগণের পক্ষে কথা বলছে তাদেরকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। নিজেদের প্রয়োজনে সরকার বিভিন্ন আইন তৈরি করেছে। সাংবাদিকরা যাতে করে কথা বলতে না পারেন, লিখতে না পারেন সেজন্য বেশকিছু আইন বানিয়েছে সরকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০০ এর মতো সংবাদকর্মীকে এ আইনের আওতায় আনা হয়েছে। প্রায় ২০০ এর মত সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এখন নতুন যে নীতিমালার কথা সরকার বলছে তারা শুধু সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত কথা বার্তাকেও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এ জাতীয় কাজের মাধ্যমে সরকার সাধারণ মানুষের মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করা, বাক স্বাধীনতাকে রোধ করা, মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য করছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, পয়গাম আলী, আল মামুন আলম, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. জাফরুল্লাহ, পৌর বিএনপির সহসভাপতি আতাউর রহমান, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক শাহরিয়ার কবির রতন, রুহিয়া থানা বিএনপির আহবায়ক আনসারুল হকসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by