করোনাভাইরাস

ধনী দেশের অতিরিক্ত ভ্যাকসিন মজুদে বিপাকে দরিদ্র রাষ্ট্রগুলো

  প্রতিনিধি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৬:৫৭:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ভ্যাকসিন মজুদ করছে বিশ্বের ধনী দেশগুলো। এতে করে দরিদ্র দেশগুলো পড়েছে বিপাকে। এমনকি ভ্যাকসিন পেতে দেশগুলো জটিলতায়ও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। টিকা নিয়ে ধনী দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করে টিকা বৈষম্য দূর করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনার লাগাম টানতে বিশ্বব্যাপী টিকা কর্মসুচি শুরুর আগে থেকেই ধনী দেশগুলো ভ্যাকসিনের আগাম সরবরাহের কথা বলে আসছিল। এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও জাপান তিনশো কোটিরও বেশি ডোজ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। এতেই বেধেছে বিপত্তি। সবার জন্য দুটি করে ডোজ নিশ্চিত করতে দেশগুলোর প্রয়োজন ২০৬ কোটি ভ্যাকসিন। তবে একশো কোটি বাড়তি ভ্যাকসিন কেনায় দরিদ্র দেশগুলোর মাঝে টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

এমন অসমতা দূর করে বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের কাছে যতদ্রুত সম্ভব টিকা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এদিকে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টিকা সরবরাহের জন্য চারশো কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আবার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভ্যাকসিন কার্যক্রম নিয়ে হতে যাওয়া “কোভ্যাক্স” প্রোগ্রামটিতেও দুইশো কোটি ডলার সহায়তার আশ্বাস দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

সংস্থার প্রধান বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলন জি সেভেনে করোনার টিকার এই বৈষম্য দূর করতে আগামীকাল আলোচনা হবে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই কোভ্যাক্স তহবিলের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের সমস্যার সমাধান পাবে।

তবে, টিকাদানেও থেমে নেই করোনার সংক্রমণ। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার নতুন আরো একটি ধরন শনাক্তের পর শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনে ফেরা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনা আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়ে পড়ছে ব্রাজিলেও। এ অবস্থায় ল্যানসেট মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ফাইজার বায়োএনটেকের টিকা প্রথম ডোজ দেয়ার পরই করোনা মোকাবিলায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by