দেশজুড়ে

ধর্মপাশায় গরুর বাজারে মানুষের ভীড়

  প্রতিনিধি ৫ জুন ২০২০ , ৩:৫৯:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

সাদ্দাম হোসেন, হাওরাঞ্চল : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর বাজারে আজ বৃহস্পতিবার গরুর বড় হাট বসেছিল। গত ১২ এপ্রিল ধর্মপাশা উপজেলাটি লক ডাউন ঘোষণার ৫৩দিন পর এই বাজারে গরুর হাট বসায় গরুর পাশাপাশি মানুষজনদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। গরু ব্যবসায়ী ছাড়াও স্থানীয় এলাকার লোকজন গবাদি প্রাণি নিয়ে ভোর থেকে এখানে চলে আসেন। সারাদিন থেমে থেকে বৃষ্টি হলেও জমে উঠেছিল গবাদি প্রাণি বেচাকেনা। তবে স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা ছিল না। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়নি যথাযথ ব্যবস্থা।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সুনামগঞ্জ জেলাটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে উপজেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজনকে ঘর থেকে বের না হওয়াসহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে মানুষজনকে চলাচল করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানকার ১০টি ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক যান চলাচলও। সবকিছু ঠিকঠাকমতো চললেও সরকারের পক্ষ থেকে লক ডাউনকে শিথিল করা হয়।

আর এই সুবাধে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে স্থানীয় এলাকার লোকজনসজহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রাকে ঘরে গরু নিয়ে আসা হয়। সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও এসব উপেক্ষা করেই বসেছিল গরুর হাট। তবে গরুর হাটে আসা কোনো মানুষজনেকেই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ বিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি।

ধর্মপাশা উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক সোহান আহমেদ বলেন, ধর্মপাশা সদর বাজারে গবাদি প্রাণিসহ মানুষজনদের ঠেলাঠেলি দেখে অবাক হয়েছি। গরুর হাটে আসা মানুষজনকে দেখে মনে হয়েছে করোনাভাইরাস নামক কোনো ব্যাধি পৃথিবীতে নেই। মানুষজনদের ঠেলাঠেলির কারণে সামাজিক দূরত্ব মানা হয়নি। এতে করে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন এ নিয়ে নজরদারি করার দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মুনতাসির হাসান বলেন, মানুষজন যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচল করেন সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বরকম প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে। গরুর হাটে এতো মানুষজনদের উপস্থিতির বিষয়টি আগে কেউ আমাকে জানায়নি। আগামী হাটবারে যাতে এমনটি না হয় এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by