রাজশাহী

নদীতে ঝাঁপ দিলেন কলেজছাত্রী

  প্রতিনিধি ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৭:২৩:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

সেতুর ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দিলেন কলেজছাত্রী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু থেকে মহানন্দা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন মুনজিলা হক টুসি (২১) এক কলেজছাত্রী। পরে বিজিবি সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে নদী থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে সেতুর ওপরে ট্রাকসহ কয়েকটি যানবাহনের সামনে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই কলেজছাত্রী। 

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার বারোঘরিয়ায় বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই কলেজছাত্রী। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফুড বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী ও সদর উপজেলার বারোঘরিয়া ইউনিয়নের লাহারপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার পর কলেজছাত্রী টুসিকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও উদ্ধারকারী ইয়ামিন শুভ ও শামীম আহমেদ জানান, সেতুর ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন ওই মেয়ে। এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও কেউই উদ্বারে এগিয়ে যায়নি। পরে সেতু চত্বরে থাকা বিজিবি সদস্যদের অনুরোধে স্থানীয়রা নদীতে নেমে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় বিজিবি সদস্যরা উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করে হাসপাতালে ভর্তি করতে এগিয়ে আসে। 

প্রত্যক্ষদর্শী তামিম হাসান জানান, সেতুর ওপর থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার আগে ইচ্ছে করেই কয়েকটি গাড়ির সামনে গিয়ে ঝাঁপ দেন ওই মেয়ে। কিন্তু ওই সময় বৃষ্টির কারণে গাড়িগুলো ধীরগতিতে চলায় দ্রুত চালক নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরে উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়েই নদীতে ঝাঁপ দেন। এ ঘটনা আমিসহ এখানে থাকা অনেকেই দেখেছেন। 

এ বিষয়ে ৫৩ বিজিবি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ হোসেন বলেন, নদীতে এক মেয়ে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনাটি বিজিবি চেকপোস্টের কাছাকাছি এলাকায় হয়েছে। কিন্তু কেউই দায়িত্ব নিয়ে উদ্ধারে এগিয়ে না আসায় ও জনগণের অনুরোধে বিজিবি সদস্যরা উদ্ধারে এগিয়ে যায়। মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই বিজিবি সদস্যরা কাজটি করেছে। 

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. শরিফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে কথা বলতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Powered by