রাজশাহী

নন্দীগ্রামে শীতের সঙ্গে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

  প্রতিনিধি ৪ জানুয়ারি ২০২২ , ৭:৫৩:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. ফিরোজ কামাল ফারুক, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : পৌষের শীতে ঘর থেকে বের হলেই কনকনে বাতাস যেন শরীরে আঁচড় কাটছে। শীতের সঙ্গে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি ভুগছে শিশুরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিভিন্ন রোগ। অনেক বাবা-মা সর্দি, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। গত এক সপ্তাহে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৬ জন শিশু ডায়রিয়াসহ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। ফলে শীত বাড়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকগুলোতে চাপ বেড়েছে।

এদিকে তীব্র শীত ও কুয়াশায় বোরো চাষের বীজতলা ও রবি শস্য ক্ষেত ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষকরা। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতের প্রকোপ থেকে রেহাই নেই পশুপাখিদেরও। আয় কমে গেছে দিনমজুরদেরও। অন্যদিকে প্রচন্ড শীতের কারণে শহরের অভিজাত বিপণী বিতান থেকে শুরু করে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বাড়ছে শীতার্ত মানুষের ভিড়। ব্যবসায়ীরা জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোয়েটার, জ্যাকেট, কোর্টসহ ছোট-বড়দের বিভিন্ন রকমের শীতবস্ত্র বিক্রি বাড়ছে। সব শ্রেণীর জনগণই তাদের ক্রেতা। শীতবস্ত্র বিক্রেতা হাবিবুর রহমান জানান, মধ্য ও নিম্ন আয়ের লোকজন এখান থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসছেন। শীত যতো বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা ততোই বাড়ছে।

এ পর্যন্ত সরকারি ভাবে একটি পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে দুই হাজার ৮২০ টি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ উপজেলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বসবাস। দিন আনে দিন খায় এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। ভ্যান চালক হযরত বলেন, এতো শীত যাচ্ছে তবুও কেউ শীতের কাপড় সাহায্য করেনি। আমাদের দিকে কেউ কোনো দিন খেয়াল করে না।

এপ্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা: তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল জানান, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া, কাশি, সর্দিসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি। শীতে বাচ্চাদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তাদের যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে।

Powered by