দেশজুড়ে

নিজে না খেয়ে পশুদের খাওয়াচ্ছেন মুন্সিগন্ঞ্জের ফার্ম মালিকরা

  প্রতিনিধি ৬ মে ২০২০ , ৬:১৭:১৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: করোনা মহামারীতে বিপাকে পড়েছে মুন্সীগঞ্জে ডেইরি ফার্ম মালিকরা। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে মুন্সিগঞ্জ জেলা কে লকডাউন করা হলে ফার্মের মালিকরা এ বিপদের সম্মুখীন হন। লকডাউন এর কারণে ফার্মের গরুর দুধ বাজারজাত করা যাচ্ছে না।

অপরদিকে খাবারের দাম বেড়ে বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় তাদের এই সংকট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে দুধ বাজারজাত করতে না পারা অপরদিকে খাবারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চরম বিপদের সম্মুখীন তারা। 

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার যোগিনিঘাট এলাকায় সোহাগ ডেইরি ফার্ম পরিদর্শন করে খামারিদের এই অবস্থা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফার্মের মালিক- হাজী মোঃ চাঁন মিয়া মাদবর জানান, তার ফার্মে ২০ অস্ট্রেলিয়ান গাভী ও ১০টি বাচ্চা রয়েছে। যার মধ্যে ১০ টি গাভী নিয়মিত আড়াই মন দুধ দিয়ে যাচ্ছে যা তিনি পাইকারি বাজারে ও স্থানীয় আসলাম সুইটস এ সরবরাহ করতেন। কিন্তু লকডাউন এ মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় ও পাইকারি ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন খামারীরা।

তিনি জানান তার ফার্মে প্রতি মাসে খাবার ছাড়াও বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল ও গরু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে ১৫,০০০/- টাকা খরচ  রয়েছে। এরমধ্যে বর্তমান বাজারে পশুজাত খাদ্য কুরা ৪০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০০ টাকা, খুদ ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০০ টাকা এবং খৈল ১১০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা হয়েছে।  তাই তিনি এবিষয়ে প্রশাসন ও সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। 

অন্যান্য খামারিদের সাথে কথা হলে দুঃখ প্রকাশ করে তারা জানায় যে- নিজেরা তো না খেয়ে থাকতে পারি, কিন্তু পশুদের তো আর না খাইয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই এ বিষয়ে সরকারের বিশেষ করে আলাদাভাবে প্রণোদনা দেয়া প্রয়োজন বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিন জানান -প্রানিখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন এবং খামারিদের বর্তমান অবস্থাও তার জানা।  কিন্তু সরকার কৃষি খাতে যে প্রণোদনা দিয়েছে, সেখান থেকে ফার্মপ্রতি ৫০০০ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে তারা চেষ্টা করছেন প্রণোদনা বাড়ানোর জন্য এবং খামারিদের ভোগান্তি কমাতে বাজারের প্রানীখাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার।

Powered by