প্রতিনিধি ১২ আগস্ট ২০২৩ , ৮:৪২:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ডেঙ্গু সচেতনতায় হামদর্দের উদ্যোগে ব্যাপক প্রচারণা
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু জ্বর। এ রোগের বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হামদর্দ ল্যাবরেটরীজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। বিভিন্ন কমিউনিটি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনবহুল স্থানে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে হামদর্দের চিকিৎসক ও মেডিকেল প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। পরামর্শ পেয়ে ইতোমধ্যে অসংখ্য মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তাছাড়া ডেঙ্গু জ্বর নিরাময়ের জন্য হামদর্দের হলিস্টিক চিকিৎসা গ্রহণ করে অনেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন।
ডেঙ্গু জ্বর একটি সাধারণ রোগ কিন্তু সামান্য অবহেলায় এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তাই দেরি না করে শুরুতেই নিকটস্থ হামদর্দ চিকিৎসা কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। ন্যাচারাল ঔষধ গ্রহণে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রাকৃতিক নির্যাস থেকে তৈরি, ফলে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় হামদর্দ-এর কার্যকরী ওষুধসমূহ:
সেঞ্চুরিন : ডেঙ্গু রোগের ফলে সৃষ্ট ত্বকের র্যাশ ও শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে সেই সাথে সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উজ্জীবিত করার মাধ্যমে শরীরের সতেজতা ফিরিয়ে আনে। এছাড়াও এটি একটি শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধক ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিকারক।
সাধারণ সেবনবিধি: ২টি করে ক্যাপসুল দৈনিক ৩ বার সেব্য।
অ্যান্টিফেভ : ডেঙ্গুজনিত জ্বরসহ যেকোন জ্বর ও ব্যথা নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর।
সাধারণ সেবনবিধি: ভরা পেটে ৪ চা চামচ (৫–১০ মিলি) করে দৈনিক ৩ বার সেব্য।
নিমেন্ট : নিমেন্ট অয়েন্টমেন্টটি শরীরের উন্মুক্ত স্থানে ব্যবহার করলে প্রতিরোধক হিসেবে ডেঙ্গু রোগের জীবাণু বাহক এডিস মশার কামড় থেকে সুরক্ষা দিবে। এটি নিমের নির্যাস সমৃদ্ধ একটি অয়েন্টমেন্ট যা প্রয়োগে মশাসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ের কামড় প্রতিহত করে।
সাধারণ ব্যবহারবিধি: পরিমাণমত দৈনিক ২-৪ বার ব্যবহার করুন।
সিনকারা ও এপেলিন : ডেঙ্গু পরবর্তী শারীরিক-মানসিক ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় অত্যন্ত কার্যকরী। এতে বিদ্যমান প্রাকৃতিক ভিটামিন, শর্করা ও খনিজ উপাদানসমূহ রোগ পরবর্তী দুর্বলতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
সাধারণ সেবনবিধি: ৬ চা চামচ (৩০ মিলি) করে দৈনিক ২/৩ বার সেব্য।
* প্রয়োজনে নিকটস্থ হামদর্দ চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।