বিনোদন

নীতিমালার অধীনে আসছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: তথ্যমন্ত্রী 

  প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২১ , ৩:০৫:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো নীতিমালার আওতায় আসছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে ক্লিন ফিড (বিজ্ঞাপনমুক্ত) ছাড়া বিদেশি কোনো টিভি চ্যানেল আজ থেকে দেশে সম্প্রচার চালাতে পারবে না। চালানো হলে আইন প্রয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।

আজ শুক্রবার সকালে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য আমরা একটি নীতিমালা করছি। নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। সেই নীতিমালা যখন চূড়ান্ত হবে তখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রেও নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে ৷ এর ব্যত্যয় হলে আইন প্রয়োগ করা হবে ৷

ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল সম্প্রচার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাবল অপারেটর এবং ডিস্ট্রিবিউটর অর্থাৎ বিভিন্ন বিদেশি চ্যানেলের ডাউন লিংকের যারা এজেন্সি নিয়েছে তাদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি। টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনও সেখানে ছিল। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বরের পর কেউ ক্লিন ফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল প্রদর্শন করবে না। সেই মোতাবেক আমরা তাদের সঙ্গে বসে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে আইন কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন চালানোয় দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি হঠাত করে নয়, এটি বহুদিন ধরে আগে থেকে সতর্ক করা হয়েছে ৷ ক্লিন ফিড না চালানোর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা যেগুলো বাংলাদেশে লগ্নি হতো সেগুলো বাংলাদেশে লগ্নি না হয়ে বিদেশি চ্যানেলে লগ্নি হয়। অর্থাৎ বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করা হয় বা এডগুলো প্রদর্শন করা হয়। সেগুলো যদি বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে না হতো তাহলে এই টাকা বিনিয়োগ হতো বাংলাদেশে। বাংলাদেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি এতে লাভবান হতো। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি লাভবান হতো।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সুতরাং অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বাংলাদেশের শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি এবং সর্বপরি মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই দেশের স্বার্থেই আমরা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

আরও খবর

Sponsered content

Powered by