বাংলাদেশ

নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে, সরকার নির্বিকার : গয়েশ্বর

  প্রতিনিধি ৮ মার্চ ২০২২ , ৩:৫৪:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে আর সরকার নির্বিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেকটি জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন। করোনার কারণে শিল্প কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। বেকারত্ব বাড়ছে। নতুন কোনো শিল্পকারখানা নাই। মানুষের আয়ের, কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা নাই। দিনমজুররা‌ কাজ পায় না।‌ বাজারে গেলে জিনিসপত্রের দামের এমন অবস্থায়— একটি নীরব দুর্ভিক্ষ চলছে। সরকারের নির্বিকার, তাদের কোনো দায় নাই।’

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এই ১০ লাখ কোটি টাকা যদি দেশে বিনিয়োগ হতো তাহলে অনেক শিল্প কারখানা হতো। অনেক রপ্তানি যোগ্য পণ্য উৎপাদিত হতো। কর্মসংস্থান হতো। তাহলে আমাদের যুব সমাজকে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরতে হতো না। দেশে যদি কাজ থাকত তাহলে কোনো যুবক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে বিদেশে যেত না। সেই দিকে সরকারের কোনো নজর নাই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ওপার থেকে সীমান্তে একের পর এক গুলি করে পাখির মতো মানুষ মারছে। বর্ডার গার্ড নীরব, তাহলে অস্ত্র কেন? অস্ত্র দেশের মানুষকে মারার জন্য। জনগণের টাকায় অস্ত্র কেনে সরকার। সেই অস্ত্র ব্যবহার করে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে। অন্যায়ের প্রতিবাদ যারা করে তাদের বিরুদ্ধে। গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে আইনের শাসন থাকে না, জবাবদিহিতা থাকে না। যখন গণতন্ত্র থাকে না, তখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে লাগামহীন। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে পড়ে টানাটানি।’

সরকার মনে করে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ নিয়ে বিশ্ববাসী ব্যস্ত এই সুযোগে আরও কিছু অপকর্ম করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীও মনে করছে তাদের ওপর আর কোনো নিষেধাজ্ঞা আসবে না। আসবে কি আসবে না তা জানি না। আমি বলব সোজা পথে সোজাভাবে চলুন। ভালো হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র দিয়ে, পোশাক পরে প্রফেশনাল গুন্ডা-মাস্তানের মতো যদি জনগণের মুখামুখি দাঁড়ান তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ অনিবার্য। কারণ কেউ হাত গুটিয়ে ঘরে বসে থাকবে না।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকারি দলের লোকদের বলব, ভালো হয়ে যান৷ ভোটাধিকার ফেরত দিন। দেশে যদি এত উন্নয়ন করেন তাহলে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে ভয় পান কেন। কারণ উন্নয়নের নামে জনগণের পকেট কেটেছেন। উন্নয়নের নামে জনগণকে ভোটাধিকার বঞ্চিত করেছেন। তাই জনগণের মন আজ বিক্ষুব্ধ, উত্তপ্ত। যেকোনো মুহূর্তে বিস্ফোরণ ঘটবে। এ বিস্ফোরণ ঠেকিয়ে রাখার ক্ষমতা সরকারের নাই।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম প্রমুখ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by