সম্পাদকীয়

নৈতিক অবক্ষয় থেকে প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে

  প্রতিনিধি ২৬ জানুয়ারি ২০২২ , ৭:৫৭:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

রায়হান আহমেদ তপাদার:

বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতির কারণে আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। যার ফলে জীবনযাত্রার মানেও অনেক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের ফলে মানুষ যেমন উন্নতির স্বর্ণশিখরে আরোহণ করছে তেমনি তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তির যুগ। বিশ্ব ব্যাপী বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতির কারণে আজ তথ্য ও প্রযুক্তির যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। ফলে জীবন যাত্রার মানেও পরিলক্ষিত হচ্ছে অভাবনীয় পরিবর্তন। তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের ফলে মানুষ যেমন উন্নতির স্বর্ণশিখরে আরোহন করছে তেমনি তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষ করে শিশু কিশোরেরা ভ্রান্ত পথে এগুচ্ছে। কারও কারও জীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ অন্ধকার। বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের জীবনে রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গিয়েছে। এটি ছাড়া এক দিনও অতিবাহিত হয় না আমাদের। গবেষণায় উঠে এসেছে; বর্তমানে শতকরা ৬৪ জন প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘন্টা করে কোন না কোন প্রযুক্তি নির্ভর স্ক্রিনের সামনে সময় ব্যয় করে।তথ্য প্রযুক্তি হল তথ্য পরিচালনা ও বিতরণের জন্য কম্পিউটার সিস্টেম, সফটওয়ার ও নেটওয়ার্কের বিকাশ রক্ষণা বেক্ষণ এবং ব্যবহার সংক্রান্ত প্রযুক্তি। বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে, তথ্যের সত্যতা জেনে ঐ সকল তথ্যের প্রক্রিয়া করণ, সংরক্ষণ প্রণালী প্রস্তুত, আধুনিকরণ, পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে বলা হয় তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন ও টেকনোলজি সংক্ষেপে আইসিটি।পৃথিবীর আয়ুবৃদ্ধির সাথে সাথে বিপুল সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাচ্ছে আমাদের সামনে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি আমাদের শেষ পর্যন্ত কোন দিগন্তে নিয়ে যাবে সেটা ধারণার বাইরে। এক পা দু পা করে আমরা সভ্যতার একেকটি স্তর পার হয়ে যাচ্ছি। আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে।

অন্যদিকে আমাদের কাছ থেকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ কেড়ে নিয়েছে। সভ্যতার উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির অবদান অপূরণীয়। কিন্তু আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি যে, প্রযুক্তির অকল্যাণকর দিকগুলো আমাদের অবস্থান কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। এর অপব্যবহার করে শিশু কিশোর যুবক কীসের এক অন্ধকার জগতে জড়িয়ে পড়ছে। জড়িয়ে পড়ছে অক্যাণকর পথে, অপরাধের জগতে। শিশুকিশোরেরা রয়েছে সবচেয়ে ঝুঁকিতে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, শহরাঞ্চলে শতকরা ৮০ ভাগ শিশু ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ইন্টানেট ব্যবহারকারী শিশুদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ ব্যবহার করছে শুধু বিনোদনের জন্য এবং ৩৬ শতাংশ শিশু শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে। তাহলে শিক্ষামূলক ব্যতীত ৬৪ শতাংশ শিশু ইন্টারননেট ব্যবহার করে শুধু কি সুস্থ বিনোদনের মধ্যেই অন লাইনে থাকছে না কি খারাপের দিয়ে ধাবিত হচ্ছে,তা খেয়াল রাখা প্রয়োজন। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সমস্ত শিশু কিশোরেরা আসক্ত হয়ে পড়ছে অনলাইন গেমসে, পর্নোগ্রাফি, কিশোরগ্যাং, তথ্যচুরি, ব্ল্যাকমেইলিং, অবৈধ হ্যাকিং এবং জঙ্গীবাদ উগ্রবাদে।

 

২০২০ সালে ডিএসপি সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশনের এক পরিসংখ্যান তথ্য হতে জানা যায় ১৮ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের ৭%,১৯-২৫ বছর বয়সী ছেলে ময়েদের মধ্যে ৩৪%, ২৬ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের মধ্যে ৩৬%, ৩৬ থেকে ৫৫ বছর নারী পুরুষের মধ্যে ২০% এবং ৫৫ থেকে বেশি বয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে ৩% তথ্য প্রযুক্তির অবব্যবহার করে নানা রকম অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়াচ্ছে।শিশুরা অনলাইন গেমস যেমন ফ্রিফায়ার পাবজী ইত্যাদি গেমসে ব্যস্ত থাকার ফলে শিশুদের বিকাশ সাধনে ব্যাঘাত ঘটে। পড়া-শোনায় পিছিয়ে পড়ে। বিষয়টি আলোচনায় আসায় কর্তৃপক্ষ এ গেমসগুলো বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ২০ হাজারের বেশি পর্নোগ্রাফী সাইট।বর্তমান সময়ে দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে ২৬০০ জিবিপিএস ব্র্যান্ড উইথের ৫০ শতাংশ ব্যয় হচ্ছে টিকটিক,লাইকি,ফ্রিফায়ার, পাবজি অনলাইন গেমস ইত্যাদিতে। আর এতে করে শিশু-কিশোর পারিবারিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

এমনকি পরিবারগুলোতে দেখা যায়, ছেলে এক কক্ষে, মেয়ে আরেক কক্ষে মুঠো ফোনে ব্যস্ত। ভার্চুয়াল জগতে বিচরণ করছে তারা। আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশীরা আসলে সৌজন্যটুকু করতে তারা অনাগ্রহী। বস্তুত, সে যে মুঠো ফোনে কোন জগতে চলে গেছে তার খবর কি অভিভাকেরা, আমরা রাখছি? মূলত শিশুটি দিন দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে পরিবারিক বাঁধন থেকে। সামাজিক ভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে শিশু কিশোরেরা।তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহারে আজকের শিশু-কিশোরেরা ক্রমাগত আসক্ত হয়ে পড়ছে। আক্রান্ত হচ্ছে মানসিক রোগে বা ডিপ্রেশনে। ডিপ্রেশনের মাত্রা বেড়ে গেলে পরিবার ভোগছে নানান জটিলতায়।২০১৯ সালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টটিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইএম এইচ) কর্তৃক এক গুবেষণায় জানা যায় আমাদের দেশে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত এবং এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ চিকিৎসা সেবার বাইরে থাকে।বর্তমানে আমরা লক্ষ করছি বিভিন্ন জায়গায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। ঢাকায় ৫০টি থেকে ৬০টি, খুলনায় ৩টি, যশোরে ১৫-২০টি, ফেনীতে ১০টি, রাজশাহীতে ৮১টি, চট্টগ্রামে ১৬টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। যারা তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে ২০% খুন, ২৪% নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ছিনতাই, চাঁদাবাজি সহ জটিল অপরাধ করে আসছে। এই কিশোর গ্যাং মূলত ফেইসবুক, টুইটার, হোয়াটআপ, ম্যাসেঞ্জারে একক অথবা গ্রুপ ভিত্তিক অপরাধ মূলক কাজগুলো করে থাকে।অপরাধীরা তাদের অপরাধ কাজের বেশির ভাগ এই সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে কেন্দ্র করে সংগঠিত করে। মানুষের আবেগ ও অনুভূতিতে আঘাত হানার মাধ্যম হিসেবে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নিজের সকল পরিচয় গোপন রাখতে পারে বলে কাউকে হুমকি দেয়া, মিথ্যা সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়া অথবা প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য ধারণ করে বিভিন্ন অনলাইন সাইটে ছড়িয়ে দিয়ে ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানকে ব্ল্যাকমেল করছে অপরাধীরা।

তাছাড়া তথ্য হ্যাকিং সম্পর্কিত ঘটনাও ঘটছে। বিশেষ করে উঠতি বয়সী তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতাটি বেশি লক্ষ্য করা যায়। আর একটি গুরুত্ব পূর্ণ দিক হলো তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে আমাদের তরুণসমাজ উগ্রবাদ ও জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রদায়িকতার হিংসা হানাহানিও প্রযুক্তির অপব্যহারের মাধ্যমে হচ্ছে।তথ্য প্রযুক্তির এই অপব্যবহার বন্ধে এখনি আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের সর্বস্তরের সচেতন মহল এগিয়ে আসলে, সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আমাদের শিশুকিশোর যুবসমাজ রক্ষা পেতে পারে। সাইবার অপরাধে ছেয়ে যাচ্ছে গোটা সমাজ ব্যবস্থা। বাধা গ্রস্থ হচ্ছে শিক্ষা, মানবিকতা নান্দনিকতার বিকাশ। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমরা কিছুতেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বন্ধ করতে পারবো না। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমেই আমরা এগিয়ে যাব, তবে এর সঠিক ব্যবহার করতে হবে।

 

প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে পারিবারিকভাবে মা বাবা ও অভিভাবকদের। তথ্য প্রযুক্তির ইতিবাচকদিকগুলো শিশু কিশোরদের সামনে তুলে ধরতে হবে। শিশুদের প্রচুর সময় দিতে হবে অভিভাবকদের। তাদেরকে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়, শিক্ষনীয় পথে পরিচালিত করতে হবে।শিশুকিশোরেরা কেউ মুঠো ফোন, ট্যাবলয়েড ল্যাপ্টপ, ডেক্সটপ, কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে। তথ্য প্রযুক্তির খারাপ ও ভালো দিক গুলো শিশুদের অবহিত করতে হবে। আবার বিনোদনের জন্যও তাদের কিছুটা সময় দিতে হবে কিন্ত অভিভাবক মা-বাবাকে খেয়াল রাখতে হবে শিশু ভ্রান্ত পথে যাচ্ছে কি না। বিদ্যালয়ে শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তির ভালো মন্দ দিক তুলে ধরতে হবে। যেহেতু, এখন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রযুক্তি নির্ভর। শিশুদের পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দেওয়ার দিন শেষ হয়ে আসছে। ডিজিটাল মাধ্যমে পাঠদান হচ্ছে। আইসিটি বিভাগ শিশুদের কন্টেন্ট তৈরি করছে। সুতরাং শিক্ষকদের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালিত করার সুযোগ আছে।

অবশ্য কিছু দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা শিশুদের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বিধানে কাজ করছে। এর মধ্যে সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়ার্ল্ডভিশন। আমাদের দেশে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, আইসিটি বিভাগ প্রভৃতি এর মাধ্যমে সরকারের নজর দাবি বাড়াতে হবে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। যদিও তথ্য প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত অবকাঠামো নেই। তদুপরি সরকারের দিক থেকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট গন্ডী রাখতে হবে যাতে সেই ক্ষতিকর ওয়েব সাইটে শিশু ঠুকতে না পারে।সর্বোপরি, শিশু কিশোরদের প্রযুক্তির ব্যবহারে অভিভাবকদের সজাগ থাকলে প্রযুক্তির অবব্যবহার রোধ করে শিশুদের রক্ষা করা সম্ভব শিশুরা ফুলের মতো পবিত্র।আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুরাই যেকোন দেশের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।আগামী দিনের জাতির কর্ণধার। কাজেই শিশুদের সুন্দর,স্বাস্থ্যকর ও স্বাভাবিক পরিবেশে গড়ে ওঠার নিশ্চয়তা বিধান করাই একটি জাতির প্রধান কর্তব্য। তথ্য-প্রযুক্তির সহজলভ্যতার কারণে তৃণমূল পর্যায়ে সব শ্রেণির মানুষের কাছে এই সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার সবার জানা নেই। তাই তথ্য-প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে তরুণদের এর খারাপ ও ভালো দিক সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের দিক থেকেই একটি নির্দিষ্ট গণ্ডি রাখা দরকার, যাতে সেই ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে কেউ ঢুকতে না পারে। পাশাপাশি ব্যক্তির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সব তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারকারীকে সচেতন হতে হবে।সন্তান যেন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা। দরজা বন্ধ একটা রুম স্থায়ীভাবে সন্তানকে বরাদ্দ দেয়া যাবে না। সন্তানের কাছে প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা, কতটুকু ব্যবহার করা উচিত তার ধারণা দেয়া। প্রযুক্তি ব্যবহার বন্ধ নয় বরং ফেসবুক কী? এটা কী কাজে ব্যবহার করা উচিত তা সন্তানকে বুঝিয়ে দিতে হবে।সর্বোপরি সামাজিক অবক্ষয় থেকে প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে শিশুকালে সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে।

এবং সত্য কথা বলা, মিথ্যা থেকে বিরত থাকা, কারো ক্ষতি না করা, কপটতা ও প্রতারণা পরিহার করা, কারো অসম্মান না করা, বড়দের শ্রদ্ধা করা ও ছোটদের স্নেহ করা ইত্যাদি গুণাবলি নৈতিকতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে গণ্য করা হয়। মানুষের মধ্যে যখন পশুশক্তি প্রবল হয়ে ওঠে তখন এসব সদাচার আনুপাতিক হারে লোপ পায়। একটি সমাজ ও রাষ্ট্রকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত করতে হলে নৈতিকতার লালন ও কর্ষণ করতে হবে। ব্যক্তি ও সমাজকে সুস্থভাবে গড়ে তুলতে হলে নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট
[email protected]

আরও খবর

Sponsered content

Powered by