সম্পাদকীয়

অনন্য আলোয় আলোকিত এক নাম এম এ রাজ্জাক খান রাজ

  প্রতিনিধি ২ অক্টোবর ২০২৩ , ৭:৩০:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

অনন্য আলোয় আলোকিত এক নাম এম এ রাজ্জাক খান রাজ

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। নির্বাচনকে ঘিরে সারাদেশেই শুরু হয়েছে তোড়জোড়। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনেও বেশ জোরেশোরে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। এ আসনে অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য শিল্পপতি এম এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি। চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন, কুশল বিনিময় করছেন। হাতে তুলে দিচ্ছেন  লিফলেট। তাতে লেখা- ‘যে কারণে দরকার শেখ হাসিনার সরকার’। গত ছয় মাস ধরে তিনি নিয়মিত এ কাজ করে আসছেন। তার কাজ ব্যাপক সাড়াও ফেলেছে। গণসংযোগে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে যেমন সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ তুলে ধরছেন তেমনই উঠান বৈঠকেও তুলে ধরা হচ্ছে সরকারের উন্নয়নের কথা। দেশের শিক্ষা খাত, পদ্মা সেতু, বাজেট, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন সেক্টরে জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশের মাথাপিছু গড় আয় বেড়েছে তারই দক্ষ নেতৃত্বে তা এম এ রাজ্জাক খান তুলে ধরছেন তার বক্তব্যে। তিনি বলেন, “এই সরকার আছে বলে আপনারা বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে, টিসিবি থেকে স্বল্প মূল্যে পণ্য পাচ্ছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প নেই”। তার মতে, এভাবে প্রচার করলে জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঠিক বার্তা জানতে পারবে। এসময় স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামীলীগের জন্য ভোট চান এম এ রাজ্জাক খান রাজ।

রাজ্জাক খান বাংলাদেশের উন্নয়নে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন সমাজসেবক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি হয়ে দেশের এবং দেশের মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান হওয়ার সাথে সাথে তিনি আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের কেন্দ্রবিন্দু। এম এ রাজ্জাক খান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমতো আমি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরছি। এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের কথা শুনছি। সুযোগ সুবিধামতো তাদের পাশে দাড়াচ্ছি”। তিনি জানান, ইতিমধ্যে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। সব নেতারই ইচ্ছে থাকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়া। যেহেতু শেখ হাসিনা তরুণ নেতাদের মাঠে কাজ করার কথা বলেছেন; সেই নির্দেশই পালন করছেন তিনি। তাই শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিনামূল্যে হুইল চেয়ার বিতরণ, অসহায় নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ধর্মীয় উৎসবে গরীব-দুঃখীদের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গী বিতরণ করে থাকেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও খেলাধুলায় ব্যক্তিগত আর্থিক প্রদান করে আসছেন। বাণিজ্যে খাতে অবদান ও সংগঠনে নেতৃত্বর জন্য বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। করোনা মহামারির সময় তিনি তার নিজ বাড়ি পলাশ পাড়ায় অবস্থিত ‘খান মহলকে’ চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য ‘জরুরি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে’ রূপান্তরিত করেন যা এখনো চলমান। সেখানে ফ্রিতে ডাক্তার দেখানো, ওষুধ বিতরণ ও অক্সিজেন সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। চুয়াডাঙ্গার প্রান্তিক জণগণের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের জন্য তিনি ‘ইউনিয়নভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা’ কার্যক্রমও চালু করেছেন যা বর্তমানে তার নিজ জেলায় পরিচালিত হলেও তার স্বপ্ন এটিকে সারা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার।

এছাড়াও চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এম এ রাজ্জাক খান সম্প্রতি আলমডাঙ্গা ইউনিয়নের চারটি মসজিদে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন সমাজসেবক এম এ রাজ্জাক খান রাজ। এসময় তিনি বলেন, “নিজের এলাকার প্রতি দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমি আমার সাধ্যমতো মানুষের জন্য কাজ করি। বিশেষত, ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদের জন্য কাজ করতে আমি সর্বদাই প্রস্তুত। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে”। তিনি আরো বলেন, “সামর্থ্যবান প্রতিটি মানুষের উচিত নিজের এলাকা থেকে মানুষের জন্য কাজ করা। সবাই সবার এলাকা থেকে কল্যাণমূলক কাজ করলে সমগ্র দেশই এগিয়ে যাবে”।  এছাড়া সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা শহরের ১নং ওয়ার্ডে সিএনবিপাড়ায় কবরস্থানে সংস্কার ও সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এক লক্ষ টাকা দান করেছেন মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ। তিনি বলেন, “ আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশমতো এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন নিজ এলাকার মানুষের পাশে থাকতে। আমি সেই দায়িত্ব পালনের সর্বাত্মক চেষ্টা করছি”।

এদিকে, দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রতিনয়ত ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। গত একমাসে ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে ৩৯৬ জনের প্রাণ। এরুপ পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু সচেতনতা ও ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করতে অসহায় মানুষের মধ্যে মশারি বিতরণ করেছেন মিনিস্টার-মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি। সম্প্রতি তিনি নিজের বাসা চুয়াডাঙ্গা জেলার খান মহলে এই মশারি বিতরণ করেন। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক হিসেবে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের কাছে প্রিয় নাম এম এ রাজ্জাক খান রাজ। করোনা মহামারির সময় তিনি জীবন বাজি রেখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করেছেন। দিয়েছেন নগদ অর্থসহ নানা ধরনের করোনা প্রতিরোধী সামগ্রী। এরই ধারাবাহিকতায় নিজের গ্রামে মশারি বিতরণ কার্যক্রম। এছাড়াও বিগত সময়ে দেশের যেকোনো জাতীয় সঙ্কটে দেশের মানুষের জন্যে সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। নিজ জেলার প্রতি তিনি সবসময়ই উদার এবং মানবিক। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা বিধ্বস্ত হলে তার কোম্পানি সেখানেও ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকান্ড করেছে।

ছোটদের মধ্যে দেশ ও পরিবেশ রক্ষার ধারণা দিতে সম্প্রতি তিনি নিজ জেলায় ‘বৃক্ষ রোপণ’ কর্মসূচি পালন করেন এবং এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। শিশুদের মধ্যে বৃক্ষ রোপণের অভ্যাস তৈরি করার জন্য স্কুল পড়ুয়া শিশুদের মাঝে তিনি গাছ বিতরণ করেছেন। নিজের তরুণ বয়স থেকেই দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী এম এ রাজ্জাক খান রাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার মানুষের এক ভরসা ও নির্ভরতার প্রতীক হিসেবে পরিণত হয়েছেন এম এ রাজ্জাক খান রাজ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by