চট্টগ্রাম

পটিয়ায় উন্নয়ন কাজে অনিয়ম, অসন্তোষ প্রকল্পের ৬৩ লাখ টাকা ফেরত গেল কোষাগারে

  প্রতিনিধি ৫ জুলাই ২০২৩ , ৮:০৫:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ


সনজয় সেন.পটিয়া চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও কাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা থেকে প্রকল্পের টাকা কোষাগারে ফেরত গেছে। প্রকল্পের কাজ শেষ না করে বিলের সম্পুর্ন টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করায় সরকারি কোষাগারে ৬৩ লাখ টাকা ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর আগে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল মামুন দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকাকে বলেন প্রকল্প কাজ পরিদর্শনে গিয়ে সন্তোষ না হওয়ায় ঠিকাদারের বিলের অবশিষ্ট টাকা উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো হলো- উপজেলার হাইদগাঁও ঝোলা পাড়া কার্পেটিং রাস্তার মাথা হতে আশ্রয়ণ প্রকল্প পর্যন্ত রাস্তা, ধলঘাট ধরপাড়া রাস্তা, বড়লিয়া শাহগদী মাজারের পশ্চিম পার্শ্বে আলতাজ মাষ্টারের নতুন বাড়ি হতে ফজু চৌকিদার বাড়ি নয়া পুকুর পর্যন্ত রাস্তা ডাবল সলিং করন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জে.বি এন্টারপ্রাইজ ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রানলয়ের অধীনে কার্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করে। নিম্নমানের ইট দিয়ে সড়ক তৈরি এবং কাজ শেষ না করে সম্পুর্ন টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করায় স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন।
জানা গেছে, ত্রাণ ও দুযোর্গ মন্ত্রনালয় থেকে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে পটিয়ার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের একটি টেন্ডার করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রায় ১.৫০০ কিলোমিটার রাস্তা। ঠিকাদার মোহাম্মদ বশর কাজের মাঝামাঝিতে প্রায় ৩১ লাখ টাকার একটি বিলও উত্তোলন করেন। পরর্বতীতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে সম্পুর্ণ বিল সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠান এবং অবশিষ্ট বিল ঠিকাদারকে দেওয়ার অনুমোদনও দেওয়া হয়। সম্পুর্ন বিল দেওয়ার পুর্বে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল মামুন প্রকল্পগুলো পরিদর্শনে গেলে কাজে সন্তোষ হননি। এর প্রেক্ষিতে প্রকল্প কাজের অবশিষ্ট টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের একটি চিঠি দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে পটিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসে নানা ধরনের অনিয়ম, দুনীতি চলছে। গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্প ও উপজেলা প্রকৌশলী উন্নয়ন তহবিলের কোটেশন টেন্ডারেও অহরহ অনিয়ম রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি জানিয়েছেন, কোটেশন টেন্ডারগুলোতে নীতিমালা অনুস্মরণ করা হয়নি। যার কারনে অনিয়ম ও কাজ না করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের কাবিটা প্রকল্পগুলো তদন্ত করা হলে অনিয়ম ও আত্মসাৎতের প্রমাণ মিলবে।
টাকা ফেরত যাওয়া কাজের ঠিকাদার মোহাম্মদ বশর জানিয়েছেন, ওয়ার্ক অর্ডার মতে প্রকল্প কাজ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে একটি বিলও তিনি পেয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রকল্প কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে কি কারনে বিল আটকে রেখে পুনরায় সরকারি কোষাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে তা তিনি জানেন না।
পটিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল হোসেন বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের উপজেলার হাইদগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প সড়কটি পাহাড়ি ঢলের পানিতে কিছু অংশে ভেঙে গেছে। যা ইউএনও স্যার পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান। যার কারণে আপাতত বিল বন্ধ রেখে প্রকল্পের টাকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর জন্য প্রক্রিয়া করা হয়েছে।

Powered by