রাজশাহী

পল্লী চিকিৎসকের সহযোগী ছাড়াই ৭৪ টি নরমাল ডেলিভারী

  প্রতিনিধি ৭ মে ২০২৩ , ৪:৪৫:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

মেহেদী হাসান সুমন, বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি :

নরমাল ডেলিভারী ও প্রসূতি সেবা দানে অনন্য এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর ইউনিয়নের তালতলা কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি)। ইতোমধ্যে এই সিসি’র সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশসহ পাশ্ববর্তী এলাকাতেও। আস্থা অর্জন করেছে স্থানীয় ১০-১৫টি গ্রামবাসীর। বিশেষ করে বিনামূল্যে প্রসূতি মা-দের নরমাল ডেলিভারীতে একের পর এক সফলতাই সুনাম কুড়িয়েছে ওই ক্লিনিকটির। খবরটি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ায় এখন দূর-দূরান্ত থেকে রোগীরা আসছেন ক্লিনিকটিতে। তবে ওই ক্লিনিকটিতে রোগীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো দাবি জানিয়েছেন সেবাদাতা ও গ্রহিতারা। তালতলা কমিউনিটি ক্লিনিকের সুনাম বিশেষ করে নরমাল ডেলিভারী ও প্রসূতি সেবা দান। যাকে কেন্দ্র করে এ সুনাম ছড়িয়েছে তিনি ওই এলাকার (তালতলা) গ্রামের হাজী আব্দুল জলিলে ছেলে খায়রুল ইসলাম।

খায়রুল ইসলাম ২০০৫ সাল থেকে ওই এলাকায় পল্লী চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার পর ওই ক্লিনিকে তিনি কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়ে সেবাদানে নিয়োজিত হন। এরই মধ্যে রবিবারের একটি শিশুকে এ পৃথিবীর আলো দেখিয়ে সম্পূর্ণ হয়েছে ৭৪টি নরমাল ডেলিভারীর। সরেজমিনে ক্লিনিকটিতে গিয়ে দেখা যায়, আয়া বা জনবল ছাড়াই একা হাতে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন খাইরুল। এলাকায় তার নাম পড়েছে ওস্তাদ ডাক্তার (পল্লী চিকিসৎক)।

তালতলা গ্রামের অধিবাসী নার্গিছ, জেসমিন ও আসমা বেগম বলেন, তারা শুরু থেকেই ওই ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। তারা সাধারণ চিকিৎসার পাশাপাশি সন্থান ধারন করার পর থেকে ওই ক্লিনিকে নিয়মিত চেকআপ করিয়েছেন এবং নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে সন্তান প্রসব করে শিশুসহ সকলেই সুস্থ্য রয়েছেন।

এব্যাপারে দায়িত্বরত সিএইচসিপি খায়রুল ইসলাম জানান, এলাকার রোগীদের চাহিদা বিবেচনায় বেড, ব্রীজ ও জনবল বাড়ানো সত্যিই প্রয়োজন। তার সিসিতে ৭৪জন গর্ভবতি প্রসুতি-মা এর নরমালণ ডেলিবারী হয়েছে। আর এই কাজে ধাত্রী হিসেব সহযোগীতা করেছেন একই এলাকার মর্জিনা বেগম নামের একজন মহিলা। তিনি প্রত্যাশা করেছেন সরকারীভাবে সিএসবি ট্রেনিং করানো হয়, সেই ট্রেনিং এর সুযোগ তিনি পেলে এ ধরণের চিকিৎসা কাজে আরো সহায়ক হতো। তিনি এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ক্লিনিক ও চিকিৎসা পদ্ধতি দেখে তিনি সন্তুষ্ট। ওই সিএইচসিপি’র উচ্চতর প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ক্লিনিকটির আধুনিকায়ণ, বেড সংখ্যা ও জনবল বৃদ্ধির কথা উচ্চ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by