স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের মূল ভিত্তি। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী উভয় দেশের মধ্যে সম্মান ও গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। গত পাঁচ দশকে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অর্জন বিস্ময়কর।

বুধবার বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদযাপন মঞ্চে সোনিয়া গান্ধীর এ ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সব সময় বিশেষ। কারণ, ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু সম্মান ও গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। ১৯৭১ সাল ভারতের জন্য যেমন রূপান্তরের বছর ছিল, তেমনই এটি বাংলাদেশের জন্যও রূপান্তরের বছর ছিল।

প্রকৃতপক্ষে ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের সাহসী জনগণ এই উপমহাদেশের ইতিহাস ও ভূগোলের রূপান্তর ঘটিয়েছিল। এর পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বমঞ্চে আবির্ভূত হন ঐতিহ্য ও বহুপক্ষীয় উদারতাবাদকে রক্ষার জন্য।

সোনিয়া গান্ধী আরও বলেন, আমি এমন একজন ব্যক্তি যে ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধীর বাসায় থেকে আমার প্রয়াত স্বামী রাজীব গান্ধীর সঙ্গে এই রূপান্তরকে সামনে থেকে দেখেছি। আজকের এই আনন্দের দিনে অত্যন্ত খুশির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এ দেশের মানুষের গর্বকে ভাগ করে নিচ্ছি।

ভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্জন ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অত্যন্ত বিস্ময়কর এবং এটি বিশ্বের স্বীকৃতি পেয়েছে।