প্রতিনিধি ১২ মার্চ ২০২১ , ৮:২১:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
আশরাফ আলী মিন্টু মোল্লা বেনাপোলের দীঘিরপাড় এলাকার মৃত. মোহর আলী মোল্লার ছেলে।
ভুক্তভোগী আশরাফ আলী মিন্টু মোল্লা জানান, তিনি পেশায় ভ্যানচালক। তবে কখনও কখনও দিনমজুরের কাজও করেন। ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে স্থানীয় চৌকিদার কালা কবিরকে নিয়ে তার বাড়িতে যান বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই মাসুম। তারা একবছরের সাজাপ্রাপ্ত দীঘিরপাড়া এলাকার মৃত. মোহর আলীর ছেলে আশরাফ আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেয়া আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার কপি দেখান তাকে। এসময় তারা তাকে আশরাফ আলী বলে আটক করেন।
তিনি আশরাফ আলী নন জানালেও পুলিশ তাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরেরদিন সকালে তার পরিবারের লোকজন জন্মনিবন্ধন সনদের কপি নিয়ে থানায় গেলেও তাকে ছাড়া হয়নি। এরপর পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আশরাফ আলী মিন্টু মোল্লা আরো জানান, কারাগারে দরবার ফাইলে তিনি অভিযোগ করেন আশরাফ আলীর পরিবর্তে তাকে জেল খাটতে বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। গত শনিবার যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনে যান লিগ্যাল এইড কমিটির সচিব।
এসময় মিন্টু তার কাছেও অভিযোগ করেন যে তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত আশরাফ আলী নন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে লিগ্যাল এইডের আইনজীবীরা আদালতকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর লিগ্যাল এইডের সহযোগিতায় আদালতে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে আশরাফ আলী অন্য একব্যক্তি। এরপর যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ ও স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক ভুক্তভোগী মিন্টুকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এদিকে আদালত মিন্টুকে মুক্তি দেয়ায় তার স্ত্রী ফাহিমা বেগম সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, দেশে এখনো ন্যায় বিচার আছে। তিনি ন্যায় বিচার পেয়েছেন।
ব্লাস্টের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট মোস্তফা হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগটি আসার পর আমরা আদালতকে অবহিত করে তার মুক্তির আবেদন জানানো হয় । এরপর আদালত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই ও আসামি পরীক্ষা করে আশরাফ আলী মিন্টুকে অব্যাহতি দেন।
তিনি আরো বলেন, বাবার নাম ও নামের প্রথম অংশ একই হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করেছিলো। পুলিশ একটি সর্তক হলে ও যাচাই করলে একজন নিরাপরাধ মানুষকে চার মাস জেল খাটতে হতো না। এটা পুলিশের দায়িত্ব অবহেলা।