আন্তর্জাতিক

পুলিশের সামনে হাঁটুগেড়ে বিক্ষোভকারীদের প্রাণভিক্ষা চাইলেন নারী

  প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২১ , ৯:২৯:১৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বেড়েই চলছে। সেনাবাহিনীও মরিয় হয়ে উঠেছে বিদ্রোহীদের দমাতে। এমন পরিস্থিতে দেশটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। এরমধ্যেই, ইয়াঙ্গুনের একটি এলাকায় দুই শতাধিক বাসিন্দাকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালিতেও ব্যাপক ধরপাকড়ের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে দেশটির উত্তরের শহর মিতকিয়ানার একটি সড়কে সোমবার সশস্ত্র পুলিশের সামনে হাঁটুমুড়ে বসেছিলেন এক সিস্টার। তিনি বিক্ষোভকারীদের পরিবর্তে তার জীবন নেওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করছিলেন।

মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমি হাঁটু মুড়ে বসেছিলাম…বাচ্চাদের প্রতি গুলি না চালাতে ও নির্যাতন না করে আমাকে গুলি করতে অনুরোধ করেছিলাম।’

সোমবার কাচিন রাজ্যের মিতকিয়ানার সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়েছিল অভ্যুত্থান বিরোধী আন্দোলনকারীরা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দিকে ধেয়ে গেলে সিস্টার অ্যান রোজ নু তাঅং এবং আরও দুজন নান বিক্ষোভকারীদের ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ জানান।

সিস্টার অ্যান রোজ বলেন, ‘তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ ধাওয়া করছিল। আমি বাচ্চাদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিলাম।’

এক পর্যায়ে তিনি হাঁটুমুড়ে বসে পড়েন। পুলিশ অবশ্য তার অনুরোধ রাখেনি। সিস্টারের অ্যানের পেছনে থাকা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে তারা।

সিস্টার বলেন, ‘বাচ্চার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল এবং তারা দৌঁড় দিচ্ছিল…আমি কিছুই করতে পারিনি। তবে বাচ্চাদের জীবন রক্ষার জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম।’

ক্যাথলিক নানের এই ছবিটি ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে নানের সাহসের তারিফও করেছেন অনেকে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by